Site icon The News Nest

Covid-19: করোনা রুখতে এবার কমলালেবু নিয়ে কাড়াকাড়ি, চড়ছে দাম

ওয়েব ডেস্ক: গুজবের বাহার সবসময় সত্যের থেকে বেশি। এই লকডাউনের বাজারে করোনা নিয়ে ছড়িয়েছে নানা গুজব। এবার তার নয়া সংযোজন কমলা লেবু।

লকডাউনের বাজারে গুরুগ্রামে আচমকা চাহিদা বেড়ে গিয়েছে কমলালেবুর। অন্য বছরের তুলনায় মার্চ-এপ্রিল মাসে কমলার চাহিদা বেড়েছে কমপক্ষে ৬৬%, জানিয়েছে হরিয়ানা রাজ্য কৃষি বাজার পর্ষদ। কী কারণে হঠাৎ বাড়ল কমলালেবুর চাহিদা? পর্ষদের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন,  ভিটামিন সি-তে ভরপুর কমলার রসে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এই ধারণাতেই বিক্রি বেড়েছে মরশুমি এই ফলের।

ফল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, করনা সংক্রমণ রোখার আশায় প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ কেজি কমলা কিনেছেন অনেক খদ্দেরই। বেশিরভাগেরই দাবি, ভিটামিন সসি-এর সাহায্যে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কমলা জরুরি। চাহিদা পূর্ণ করতে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে অতিরিক্ত অর্ডার দিতে হয়েছে, জানিয়েছেন বিক্রেতারা। 

আরও পড়ুন: ‘আমাদের গল্প ফুরোল’,ঋষির জন্য মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট নীতুর

বাজার পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত হরিয়ানার খান্দসা পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে মোট ১১,২২২ কুইন্টাল কমলালেবু। গত বছর এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৬,৭৪৫ কুইন্টাল। এর মধ্যে ১-২৭ এপ্রিলেই শুধু বিক্রি হয়েছে ৬,৪৩৩ কুইন্টাল কমলা।

চাহিদা বাড়লেও ২০১৯ সালের দর অনুযায়ী গত মার্চ মাসেও ২,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা কুইন্টালপ্রতি দাম গিয়েছে কমলার। গত বছর এপ্রিলে দাম ৫,০০০-১০,০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হলেও এ বছর ওই সময় কমলার দাম উঠেছিল কুইন্টালপ্রতি ৩,৫০০ থেকে ৭,০০০ টাকা।

বাজার পর্ষদ কতর্তারা জানিয়েছেন, গুরুগ্রামে প্রায় ৭০% কমলালেবু আসে মহারাষ্ট্র থেকে, ২০% মধ্য প্রদেশ ও ১০% পঞ্জাব থেকে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ হল কমলা বিক্রির সবচেয়ে চাঙ্গা মরশুম। এর পর গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোগানে ভাটা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: ২০০টি পরিবারকে ইফতারের সামগ্রী পাঠালেন মিমি, লাইভ স্ট্রিমিং করে জানালেন রমজানের শুভেচ্ছা

Exit mobile version