Site icon The News Nest

করোনা যুদ্ধে দিশা দেখাচ্ছে ৭০টি চেনা ওষুধ! আক্রান্তদের সেরে ওঠা দেখে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা

coronavirus drug

ওয়েব ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে এখনও অথৈ জলে বিজ্ঞানীমহল। রোজই চলছে নিত্যনতুন গবেষণা। এমন পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে একদল গবেষক জানালেন, অতি পরিচিত ৬৯টি ড্রাগ করোনা মোকাবিলায় দিশা দেখাতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ড্রাগকেই মান্যতা দিয়েছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মধুমেহ, ক্যানসার ও হাইপারটেনশনের মতো রোগে এই ওষুধগুলি ব্যবহার হয়।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে চাই, জেলবন্দি কাফিল খানের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

গত বছের শেষের দিকে চিনের ইউহানে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস COVID-19। চিন থেকে এখন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্বে। ইটালি, ইরান, স্পেন হয়ে বর্তমানে এর ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার। আক্রান্ত পাঁচ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্বের কোনও দেশ। এই পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকদের মন্তব্য যেন এক টুকরো আশার আলো। তাঁদের গবেষণা ‘bioRxiv’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার জন্য তাঁরা করোনা ভাইরাসের প্রায় ১০০টি জিন পরীক্ষা করেন। মানবদেহের উপর এই ভাইরাস কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, তা নিয়েও গবেষণা চালান তাঁরা। তাঁদের মতে, এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য তাঁরা মানবদেহের প্রোটিনের উপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁদের হাতে আসে।

আরও পড়ুন: গোটা বিশ্বে লকডাউনে রয়েছেন ৩০০ কোটি! মৃত ২৪ হাজারের বেশি, আক্রান্ত ৫ লক্ষাধিক

গবেষণায় দেখা যায়, মানুষের দেহে এমন ৩৩২টি প্রোটন রয়েছে যেগুলি ভাইরাসকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। পূর্বে উল্লিখিত ওই ৬৯টি ড্রাগ মানবদেহের ওই প্রোটিনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এর ফলে ভাইরাস দেহে প্রবেশ করতে পারে না। এই ৬৯টি ড্রাগের মধ্যে ২৪টিকে ইতিমধ্যে FDA সিলমোহর দিয়েছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এই ড্রাগগুলি ব্যবহারও হয়েছে।

চেনা ওষুধেই কলকাতায় করোনার উপশম হচ্ছে কলকাতায়। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক রোগীই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। দ্রুত সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন তাঁরা। তবে করোনা রোগীদের ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে যে হাসপাতাল সতর্ক তাও জানাতে ভোলেননি তিনি। জানিয়েছেন, WHO-র নিয়ম মেনে ছুটি দেওয়া হবে রোগীদের। সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সময় নেওয়া ২টি নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই ছুটি পাবেন রোগী।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে চেনা সব ড্রাগ। এর মধ্যে রয়েছে, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন, যা দিন কয়েক আগে করোনায় কার্যকর বলে ঘোষণা করেছিল ICMR. এছাড়া অন্যান্য সংক্রমণ কমাতে ব্যাবহার করা হয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো সহজলভ্য অ্যান্টিবায়োটিক। বর্তমানে COVID-19-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন আরও ১৮ মাস লাগবে প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে। এর মাঝে এই ৬৯টি ড্রাগ করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:  ৯ মাসের শিশুসহ ৫ জনের দেহে করোনা, রাজ্যে এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫

 

Exit mobile version