Site icon The News Nest

RCB VS SRH: দুরন্ত চাহাল, হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু কোহলির

VIRAT

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৬৩/৫ (দেবদূত-৫৬, ডিভিলিয়ার্স-৫১)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৫৩ (বেয়ারস্টো-৬১ মণীশ-৩৪)
১০ রানে জয়ী আরসিবি

সোমবার বিরাট কোহলির আরসিবির থেকে বিশেষজ্ঞরা ধারে-ভারে এগিয়ে রেখেছিল হায়দরাবাদকেই। কারণ আমিরশাহীর স্পিন সহায়ক উইকেট। কোহলি-ফিঞ্চ-এবির মতো তারকাদের নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং লাইন আপ সাজানো থাকলেও হায়দরাবাদ এগিয়েছিল বোলিংয়ে। অন্তত খাতায়-কলমে। কিন্তু এদিনও হিসেব মিলল না। জয় দিয়েই ১৩ তম মরশুম শুরু করল কোহলি অ্যান্ড কোং।

টস জিতে কোহলিদের ব্যাট করতে পাঠান ওয়ার্নার। গোটা ক্রিকেট মহলকে চমকে দিয়ে ব্যাট হাতে শুরুটা করেন দেবদূত পাডলিকর। অভিষেক ম্যাচেই দর্শনীয় ক্রিকেট উপহার দিয়ে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান কর্ণাটকের তরুণ ব্যাটসম্যান। তাঁর টাইমিংয়ে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরাও। ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে যে দেবদূত লম্বা রেসের ঘোড়া, তা নির্দ্বিধায় বলে দিচ্ছেন অনেকেই। তবে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নেমে ব্যর্থ ক্যাপ্টেন কোহলি। যদিও ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালোর পাঁচ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৩ রান। এক সময় মনে হচ্ছিল ১৮০ রানের কাছাকাছি পৌঁছবে স্কোর। কিন্তু তা হয়নি। মাঝের ওভারে আটকে গিয়েছিলেন আরসিবি ব্যাটসম্যানরা।

রান তাড়ার শুরুতেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়েছিল হায়দরাবাদ। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে রান আউট হন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা ওয়ার্নার (৬)। দ্বিতীয় ওভারে ১৮ রানে পড়েছিল প্রথম উইকেট। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো যোগ করেন ৭১ রান। হায়দরাবাদের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৮৯ রানে। যুজভেন্দ্র চাহালের বলে আউট হন মণীশ (৩৩ বলে ৩৪)।

আরও পড়ুন: DC vs KXIP: কাজে এল না শামি -মায়াঙ্কের দুরন্ত পারফর্মেন্স, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সুপার ওভারে জিতল দিল্লি

বেয়ারস্টোর পঞ্চাশ আসে ৩৭ বলে। ১৪ ওভারের শেষে সানরাইজার্সের রান ছিল দুই উইকেটে ১০৮। ফলে, ৩৬ বলে দরকার ছিল ৫৬ রান। হায়দরাবাদের তৃতীয় উইকেট পড়ল ১২১ রানে।চাহালের চতুর্থ ওভারে বোল্ড হলেন বেয়ারস্টো (৪৩ বলে ৬১)। যাতে ছিল ছয়টি চার ও দুটো ছয়। তৃতীয় উইকেটে প্রিয়ম গর্গের সঙ্গে বেয়ারস্টো যোগ করেছিলেন ৩২ রান। বেয়ারস্টো যখন ফিরলেন তখন সানরাইজার্সের ২৮ বলে দরকার ছিল ৪৩ রান। পরের বলেই চাহালের গুগলিতে বোল্ড বিজয় শঙ্কর (০)। হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন চহাল। কিন্তু হ্যাটট্রিক হয়নি। তবে মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচে ফেরালেন ব্যাঙ্গালোরকে। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি হায়দরাবাদ।

মিচেল মার্শের চোট এই ম্যাচে ভোগাল হায়দরাবাদকে। বোলিংয়ের সময় চার বলের বেশি করতে পারেননি তিনি। ব্যাট করতে নামলেন আট উইকেট পড়ার পর। বোঝাই যাচ্ছিল অস্বস্তি হচ্ছে। প্রথম বলেই লোপ্পা ক্য়াচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। শিবমের বলে তাঁর ক্যাচ ধরলেন কোহালি। শেষ ওভারে ডেল স্টেন ফেরালেন সন্দীপ শর্মাকে (৯)। দুই বল বাকি থাকলে শেষ হল হায়দরাবাদের লড়াই। তবে জিতলেও আরসিবির ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন থাকল। বেশ কয়েকবার ক্যাচ পড়ল। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও মুন্সিয়ানার অভাব থাকল বিরাট কোহালির সিদ্ধান্তে।

আরও পড়ুন: মাহি ওয়ে! বাইসেপ, দাঁড়ির নয়া স্টাইল – অবসরের পর যেন আরও হ্যান্ডসাম ধোনি

 

Exit mobile version