Site icon The News Nest

WTC Final: একের পর এক বড় টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা, প্রশ্নের মুখে কোহলির অধিনায়কত্ব

virat kohli

বড় টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যর্থতা কাটিয়ে চোকার্স তকমা ঘোচাল নিউজিল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েন কেন উইলিয়ামসনরা। যদিও শেষ ৬টি আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অথবা ফাইনালে ভারতের হার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে কোহলিদের নিয়ে। তবে কি চোকার্স তকমা এঁটে বসছে টিম ইন্ডিয়ার কপালে? দেখে নেওয়া যাক আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ফলাফল।

ঘুরে ফিরে আসছে সেই অমোঘ প্রশ্ন, আইসিসি টুনামেন্টে খেলতে নামলে কী হয় কোহলির? কেন বারবার ব্যর্থ হন তিনি? সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গেল।

অথচ তাঁর পূর্বসুরি ধোনি তো সেই ‘মিডাস রাজা’র মতো। যা ধরেছেন তাতেই সোনা ফলিয়েছেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও তাঁর ঝুলিতে। সেখানে কোহলি কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলতে পারেননি। তাঁর ক্যাবিনেটে নেই বড় কোনও ট্রফিও। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে একের পর এক রেকর্ড গড়লেও ক্যাপ্টেন হিসেবে আসল ম্যাচে হার মানছেন তিনি।

আট বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য আইসিসি সম্মান জানিয়েছে ধোনিকে। অথচ কোহলিকে মাথা নীচু করে বুধবার মাঠ ছাড়তে হল। তাঁর ব্যাটও জ্বলে উঠল না বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। বিরাট কোহলি মানেই তো তাঁর ব্যাট কথা বলে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কিউয়িদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে করলেন ৪৪ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা নিলেন। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাটকে দরকার ছিল দেশের। সেই সময়ে তাঁর চলে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। কোনও সন্দেহই নেই তাতে।

আরও পড়ুন: Euro 2020: ইতিহাস! উত্তেজনার ম্যাচে ইউক্রেনকে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোর নকআউটে অস্ট্রিয়া

আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টেই চাপের মুখে নিজের আসল খেলা তুলে ধরতে পারেন না কোহলি। এটা তাঁর নামের পাশে বারংবার লেখা হয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত তাকিয়েছিল কোহলির চওড়া ব্যাটের দিকে। কোহলি করেন মাত্র ১ রান। চার বছর বাদের বিশ্বকাপেও কোহলির দিকেই তাকিয়েছিল দেশ। হতাশ করেন তিনি। কিউয়িদের বিরুদ্ধে করেছিলেন মাত্র ১ রান। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাত্র ৫ রান করেছিলেন কোহলি। সেবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল কোহলির ভারতকে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ক্যাপ্টেন কোহলি ব্যর্থ ট্রফি জিততে। চাপের মুখে বারবার ‘চোক’ করে যাচ্ছেন কোহলি। মানতে না চাইলেও এটাই প্রমাণিত।

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর ইংল্যান্ডের মাঠে ফের কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে হার কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না কোহলি। তিনি বলেন, “মাত্র একটি ম্যাচ ঠিক করে দেবে বিশ্বের সেরা টেস্ট দল কোনটি, এটা আমি মানতে রাজি নই। টেস্ট সিরিজ হলে দলের চারিত্রিক গঠন অনেক বেশি বোঝা যায়। বোঝা যায় হেরে গিয়েও ফিরে আসার মানসিকতা কোন দলের রয়েছে। এটা হতে পারে না যে চাপের মুখে তুমি দু’দিন ভাল খেললে, তারপর হেরে গিয়ে তুমি আর বিশ্বের সেরা টেস্ট দল নয়। আমি এটা বিশ্বাস করি না।”

অন্যদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে কিউয়ি অধিনায়ক জানান, ‘আমি এখনও অবধি খুল অল্প সময়ের জন্যই নিউজিল্যান্ড দলের অংশ থেকেছি। আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্ব খেতাব জেতাটা আমার কাছে এক বিশেষ মুহূর্ত। আমরা জানি আমাদের দলে কোন তারকা নেই এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের আলাদা আলাদা দক্ষতার ওপরই আমরা নির্ভর করি। বিগত দুই বছরে ২২ জন খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা সকলেই বিভিন্ন সময়ে দলের হয়ে নিজেদের অবদান রেখেছেন। এই মুহূর্তটা সারাজীবন আমার স্মরণে থাকবে।’

আরও পড়ুন: WTC Final 2021: আরও একটা ফাইনাল হারলেন বিরাট, টেস্টের প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

Exit mobile version