খোদ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি তার হয়ে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু চিঁড়ে ভিজলো না। পদ সেই হারাতেই হল সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে (Subrata Chattopadhyay)। যিনি এতদিন পর্যন্ত সামলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর দায়িত্ব। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। এতদিন সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
৭ বছর টানা এই পদে ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে সব সময় তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সূত্রের খবর, বেশকিছুদিন ধরে সুব্রতবাবুকে সরানোর পরিকল্পনা করছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তবে প্রতিবারই বাধা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। চলতি মাসে দিল্লিতে দলের বৈঠকেও সুব্রতবাবুকে সরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তেমনটা করলে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপবাবু। সেই হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হল সুব্রতবাবুকে।
আরও পড়ুন: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া গাইঘাটায়! স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের ঘরে খাটের নিচে পুঁতল স্ত্রী
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের কলেবর বৃদ্ধিতে অন্য দল থেকে আসা ব্যক্তিদের যতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল তা দিচ্ছেন না সুব্রতবাবু। যার ফলে তৃণমূল থেকে অনেকে বিজেপিতে যোগদান করেও ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। ভোটের আগে দল ভারী করতে যা বিজেপির জন্য একেবারেই শুভ নয়। সম্প্রতি মুকুল রায়ের পদপ্রাপ্তি ও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৌমিত্র খাঁর বিবাদের পর রাতারাতি সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সুব্রতবাবুর জায়গায় যে অমিতাভ চক্রবর্তীকে আনা হয়েছে তিনিও RSS-এর ঘরের ছেলে। তবে দিলীপের সঙ্গে তাঁর ঘর সুখের হয় কি না তা দেখার। তা না হলে ভোটের মুখে দিলীপবাবু পদত্যাগ করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
আরও পড়ুন: আরোগ্য সেতুর ঢাক পেটালেন মোদী, কে তৈরি করেছে অ্যাপ? জানেই না সরকার