Site icon The News Nest

জেলা হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘক্ষণ পড়ে ভবঘুরের দেহ, ঠুকরে খেল কাক

death

হাওড়া জেলা হাসপাতালে ওয়ার্ডমাস্টারের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকল ভবঘুরে বৃদ্ধের দেহ। পায়ে ক্ষত ছিল তাঁর। ভিড় করে সেটাই ঠুকরে খেতে শুরু করে কাক। সোমবার বহুক্ষণ ধরে এই নৃশংস দৃশ্য দেখতে হল হাওড়া জেলা হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবার–পরিজনদের।জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস থেকে ১৫ ফুটের মধ্যে পড়েছিলেন ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। উদাসীনতার মর্মান্তিক উদাহরণ হয়ে থাকল এই ঘটনা।

হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় জানান, ভবঘুরে ওই ব্যক্তিকে এর আগে বেশ কয়েকবার হাসপাতাল চত্বরে দেখা গিয়েছিল। এদিন দুপুর আড়াইটে থেকে ওয়ার্ডমাস্টারের ঘরের সামনে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। করোনা–ভীতির জেরে সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। ওয়ার্ডমাস্টারকে জানালে তিনি ওই বৃদ্ধকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: মেলার মাঠে পাঁচিল নিয়ে বিবাদ- রণক্ষেত্র শান্তিনিকেতন, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ বিশ্বভারতী

যদিও ওয়ার্ডমাস্টারের ঘরের সামনে দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, সারাদিন অনেক ভবঘুরে হাওড়া হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায়। তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি কারও নজরে কেন পড়ল না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও স্থানীয লোকজনের দাবি, হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে ছিলেন ভবঘুরে। চলাফেরার ক্ষমতাও ছিল না। পায়ের ঘা সহ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালের এদিক ওদিক শুয়ে থাকতেন। লোকজন যা খাবার দিত তা খেয়েই দিন চলে যেত। শারিরিক অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই অনুমান। মৃত্যুর পর সেখানে গাছতলার নীচে তাঁর পায়ের অংশ ঠুকরে খেতে দেখা যায় কাককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “বেলা আড়াইটে থেকে ওইভাবেই পড়ে রয়েছেন। কাক পা ঠুকরে খাচ্ছে।” এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।

আরও পড়ুন: সংগ্রামের লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র, চোখ কাজ শুরু করল অন্যের শরীরে, কিডনি ও ত্বক গেল এসএসকেএমে

 

Exit mobile version