Site icon The News Nest

ফিরল শীতলকুচি আতঙ্ক! দেগঙ্গায় পরপর গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর, অস্বীকার কমিশনের

fire gun

শীতলকুচির পর দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, শনিবার ভোটগ্রহণ পর্বের মধ্যেই মাটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে।তবে, তা কাউকে লক্ষ্য করে নয়, শুন্যে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিশনের দাবি, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কোনও গুলি চলেনি।

ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেগঙ্গার ২১৫ নম্বর বুথের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি আমবাগানের মধ্যে এলাকারই কয়েকজন বসে গল্প করছিল। তাঁদের কোনও কথা না শুনেই সেখানে প্রায় চার-পাঁচ রাউন্ড শূন্য গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশ গিয়ে তাঁদের মারধরও করেছে বলে অভিযোগ। তাতে প্রায় সাতজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই বুথের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: ‘মেরুকরণ’ উড়িয়ে এল আনন্দর পরিবারও, মাথাভাঙায় চোখে জল মমতার

যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় দ্রুত রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও গুলি চলেনি সেখানে। গ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানিয়েছিলেন, দুপুরে বুথের কাছে অচেতন হয়ে পড়ে যায় এক নাবালক। তার চোখে মুখে জল দিচ্ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন মহিলা। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারইমধ্যে গ্রামে গুজব ছড়ায়, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম থেকে নানা রকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন ৩০০-৪০০ জন মানুষ। এরপরই যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আরও পড়ুন: শীতলকুচি-কাণ্ড :‘মমতার অডিয়ো ফাঁস’ বিজেপি-র, আড়িপাতার অভিযোগ তৃণমূলের

 

 

Exit mobile version