Site icon The News Nest

শীতলকুচি সফর নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী- রাজ্যপাল সংঘাত, চিঠি- পাল্টা চিঠিতে বাড়ছে উত্তাপ

MAMATA

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত নতুন নয়। ভোটের পরে শপথগ্রহণের দিন থেকেই নতুন করে সংঘাতের ইস্যু রাজনৈতিক হিংসা। যার নির্যাস, রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিলেন মমতা।

ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন। এবার সন্ত্রাস কবলিত এলাকাগুলিতে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। ঠিক এখানেই বেঁধেছে সংঘাত। বৃহস্পতিবার প্রথমেই  শীতলকুচি যাচ্ছেন ধনখড়। তাঁর এই সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিলেন মমতা।

বুধবার রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে মমতা লিখেছেন, প্রটোকল অনুযায়ী রাজ্যপালের সফরসূচি ঠিক করেন সচিব। একই সঙ্গে যে এলাকায় রাজ্যপাল যাচ্ছেন, সেই এলাকার প্রশাসন ও কমিশনরারের সঙ্গে কথা বলে নেন সচিব। কিন্তু রাজ্যপালের কোচবিহার সফরের কথা জানতে পারলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভাবে প্রটোকল না মানা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আশা করি এই ধরনের সফরে আপনি বিরত থাকবেন। রাজ্যপালের কিছু বলার থাকলে তাঁকে বলতে পারেন বলেও লেখেন মমতা।

আরও পড়ুন: বিহার থেকে মৃতদেহ ভেসে মালদহে আসার আশঙ্কা, গঙ্গায় নজরদারির ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ নবান্নের

অন্যদিকে, জবাবি চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দিলেন, সাংবিধানিক বিধি মেনেই শীতলখুচি-সহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপালের ‘পরামর্শ’, ‘যে সংবিধানের শপথ নিয়েছেন, তা রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। নিজের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুন’।

রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘আপনার তরফে যে অবস্থান নেওয়া হয়েছে, আমি তাতে রাজি হতে পারছি না। সাংবিধানিক বিধির প্রতি প্রাথমিক অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে আপনার চিঠিতে’। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি রাজভবনে পৌঁছনোর আগেই তা কী করে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।

‘সরকারি বিধি এবং রীতি’ পালন না করার অভিযোগের জবাবে রাজ্যপাল সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ এনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি, আপনার মতো উচ্চতার এক নেতা কী ভাবে বলতে পারেন, রাজ্যপালকে সফরে যেতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে’। হবে’। ভোট পরবর্তী হিংসায় সঙ্কটে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটাই উপযুক্ত সময় বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: যোগী রাজ্য যেন মৃত্যু উপত্যকা! এ বার গঙ্গার ধারে বালিতে পোঁতা একাধিক দেহ উদ্ধার

Exit mobile version