Site icon The News Nest

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, সায়ন্তন বসুকে শো-কজ করল বিজেপি

sayantan basu

রাজ্যের প্রথম সারির নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরাল বিজেপি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে গঠনতন্ত্রের ২৫-এর ‘ঘ’ ধারা অনুযায়ী এই চিঠি দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।সায়ন্তনের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটার এক মণ্ডল সভাপতি এবং আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতিকেও শো-কজ করা হয়েছে।সেই চিঠিতে এই বিষয়েও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে যে, ওই কাজের জন্য সায়ন্তনদের কেন কড়া শাস্তি হবে না, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

আসানসোলের পদত্যাগী পুর প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হতেই একাধিক বিজেপি নেতা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। সেই তালিকায় দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে সায়ন্তনও রয়েছেন। যদিও রাজ্য সভাপতি বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে শো-কজ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে এসে ৭ মিথ্যে বলেছেন Amit Shah! ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রকাশ করে ব্যাখ্যা দিলেন Derek

চিঠি জানানো হয়েছে, সায়ন্তন বসু গত ১৮ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী এবং নিম্নরুচির মন্তব্য করেছেন। যা দলের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী। দল এই ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না।দলের সংবিধান অনুযায়ী, এমন মন্তব্যের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। কেন তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে না, তা নিয়ে সাতদিনের মধ্যে সায়ন্তনের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। শো-কজের চিঠি প্রসঙ্গে সায়ন্তন যদিও বলেন, ‘‘আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিঠির উত্তর দেব।’’

সায়ন্তনের পাশাপাশি শো-কজ করা হয়েছে নাগরাকাটার মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতি, আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকেও। তিন জনের ক্ষেত্রেই শো-কজের কারণ এক। সন্তোষের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ১৯ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় যে সভা হয়েছে, সেখানে দলবিরোধী স্লোগান তোলা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে মণ্ডল সভাপতির সরাসরি হাত ছিল। সে কথাও চিঠিতে লেখা হয়েছে।

নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুণ্ডা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, সেখানেও দলবদল নিয়ে বিজেপি-র পুরনো নেতা-কর্মীরা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন সন্তোষ। গঙ্গাপ্রসাদও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। দলের অন্দরের খবর, সে কারণেই শো-কজ করা হয়েছে তাঁদের। সন্তোষ এবং গঙ্গাপ্রসাদের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে দু’জনের কেউই ফোন ধরেননি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই শোকজ আসলে বার্তা। বিজেপি হয়তো জেলা থেকে রাজ্য নেতাদের বুঝিয়ে দিল, আগামী দিনে অনেক তৃণমূল নেতা দলে সামিল হবে। তাঁরা হয়তো বিজেপির উপর রাজনৈতিক আক্রমণের নেপথ্যে ছিলেন। কিন্তু তাঁদেরও সাদরে গ্রহণ করা হবে। বড় লড়াইয়ের জন্য ছোটখাট আপস করতে হবে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের রিপোর্টে এগিয়ে মমতার বাংলা, দেখে নিন সেই রিপোর্ট-কার্ডের ১০ পয়েন্ট

 

Exit mobile version