রাজ্যে এসে ৭ মিথ্যে বলেছেন Amit Shah! ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রকাশ করে ব্যাখ্যা দিলেন Derek

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শনিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠের মেগা সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ(Suvendu Adhikari) কংগ্রেস, সিপিএমের একাধিক নেতা। এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

এ বার সেই ভাষণের জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। টুইটারে ফ্যাক্ট চেক প্রকাশ করলেন তিনি। মোট ১৫টি আলাদা আলাদা পয়েন্টে দাবি করলেন, অমিত শাহের কথা বেশিরভাগই মিথ্যা।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় আগেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলবদল করেননি, কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আলাদা দল তৈরি করেছিলেন। ডেরেকও সে কথা মনে করিয়ে দিলেন। আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে ডেরেকের মন্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের দু’বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: IPS- ইস্যুতে মমতার পাশে পাওয়ার, বিজেপি বিরোধী লড়াই জোরদার করার বার্তা NCP সুপ্রিমোর

রাজ্য সরকার অনেক আগেই এই প্রকল্প চালু করেছে। বিজেপি কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গেও ডেরেক লিখেছেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে গত দেড় বছরে বেশিরভাগ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।পিএম কিসান ফান্ডের ৬ হাজার টাকার হিসাব ভেঙে দেখিয়ে ডেরেক বলেছেন, একর প্রতি ১,২১৪ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার একক ভাবে বার্ষিক একজন কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেয়।

খাদ্যসাথী প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে ডেরেক লেখেন, এমনিতেই খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত পাবেন। তাই কেন্দ্রীয় খাদ্যের সাহায্য তৃণমূল নেতারা চুরি করেছেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়।এ ছাড়াও গৃহনির্মাণ প্রকল্প থেকে শুরু করে জেপি নড্ডার সফরে নিরাপত্তার অভাব, সব কিছু নিয়েই রবিবার জবাব দিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন।

অমিত শাহর দাবি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন। এখন অন্যদের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ করেছেন।

ডেরেকের জবাব

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোনও দলে যোগ  দেননি। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি ১৯৯৮ সালে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) গঠন করেছিলেন।

অমিত শাহর দাবি

আয়ূষ্মান ভারতের কোনও সুবিধে বাংলার মানুষকে দেওয়া হচ্ছে না।

ডেরেকের জবাব

আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর ২ বছর আগে বাংলায় চালু করা হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প(Sastha Sathi)। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের ১.৪ কোটি পরিবার বিমার সুবিধে পেয়েছেন। ওইসব পরিবার বছরে পেয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।

অমিত শাহর দাবি

প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধির ৬ হাজার টাকা পাওয়া থেকে রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত।

ডেরেকের জবাব

কিষান বন্ধু প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রতি একর জমিতে রাজ্যের চাষিরা পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী(PM Narendra Modi) কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে প্রতি একর জমিতে চাষিদের দেওয়া হয়েছে মাত্র ১,২১৪ টাকা।

অমিত শাহর দাবি

গত দেড় বছরে রাজ্যে খুন হয়েছেন ৩০০ বিজেপি(BJP) সমর্থক।

ডেরেকের জবাব

বহু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে নিজেদের মধ্যে মারামারিতে। কেউ আত্মহত্যা করলে তাকে খুন বলে চালানো হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে থেকে এখনও পর্যন্ত ১০২৭ তৃণমূল(TMC)কর্মী খুন হয়েছেন।

অমিত শাহর দাবি

বাংলার মানুষের জন্য মোদীর পাঠানো খাদ্যশষ্য নয়ছয় করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।

ডেরেকের জবাব

রাজ্যের খাদ্য সাথী প্রকল্পে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১০ কোটি মানুষকে ফ্রিতে রেশন দেওয়া হয়েছে।

অমিত শাহর দাবি

বাংলায় জে পি নাড্ডাকে(J P Nadda) পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।

ডেরেকের জবাব

জে পি নাড্ডার জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম ভেঙে তিনি তাঁর কনভয়ে গাড়ি সংখ্যা বাড়িয়ে দেন।

অমিত শাহর দাবি

নরেন্দ্র মোদী বহু গরিব মানুষকে ঘর দিয়েছেন।

ডেরেকের জবাব

এক্ষেত্রে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ ও রাজ্য সরকার দেয় ৪০ শতাংশ খরচ। ২০১১-২০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্র রাজ্য সরকার তৈরি করেছে ৩৩,৮৭,০০০ ঘর। এতে খরচ হয়েছে ৩৯,৯৯৩ কোটি টাকা। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ৩,৯০,০০০ ঘর তৈরি করেছে রাজ্য। খরচ হয়েছে ৩৫৫০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু ভাইরাস’ বিদায়ে আপ্লুত মদন মিত্র, হুড খোলা জিপে জামা খুলে ভোজপুরি ডিজে-নাচে সেলিব্রেশন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest