Site icon The News Nest

বউদিকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ দেওরের, চাঞ্চল্যকর ঘটনা শহর কলকাতায়

শুক্রবার দুপুরে একবালপুরের একটি বহুতলে ঢুকে মা ও দুই মেয়ের উপর হামলা চালাল পরিবারেরই এক আত্মীয়। ভারী অস্ত্র দিয়ে তিনজনকে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মায়ের। ঘটনার পর হামলাকারী একবালপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসবার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সুধীর বসু রোডের ওই বহুতলের চারতলায় একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা আকিদা খাতুন (৫০) এবং তাঁর দুই মেয়ের উপর চড়াও হয় হামলাকারী সুলতান আনসারি (২৫)। শিলনোড়া জাতীয় ভারী জিনিস দিয়ে তিন জনের মাথা এবং শরীরে অন্যান্য অংশে আঘাত করে সে। ওই বহুতলের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, ‘‘নমাজের সময় ছিল। তাই আমাদের আবাসনের অনেকেই তখন ছিলেন না। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ পেলেও তেমন গুরুত্ব দেননি।’’

আরও পড়ুন: পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান মমতার, সিভিক-আশাকর্মীদের বাড়ল বেতন

ঘটনার পরে সুলতান থানায় পৌঁছে অপরাধের কথা জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। শাকিলের কথায়, ‘‘পুলিশ ঢুকতেই ভিড় জমে যায়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখি, রক্তাপ্লুত অবস্থায় তিন জন ফ্ল্যাটের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আকিদার মৃত্যু হয়। দুই মেয়ের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। বড় মেয়ের শাগুফতার বয়স ২০ বছর, ছোট মেয়ে তইবার ১৮।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, চারতলার ওই ফ্ল্যাটে স্বামী হারুণ রশিদ এবং দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন আকিদা। হামলার সময় হারুণ বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সুলতান সম্পর্কে হারুণের তুতো ভাই। ঘটনার পরেই বহুতলটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ছুটে যান কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারীরা। বিকেলে একবালপুরের ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘হামলাকারী নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, সুলতানকে জেরা করে হামলার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: ‘গরু তো আর মানি ব্যাগে পাচার হচ্ছিল না! রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদলের মদত রয়েছে’, কটাক্ষ অধীরের

 

Exit mobile version