করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সেপ্টেম্বরে রাজ্যের লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালুতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তারপরই সেপ্টেম্বরের প্রথমে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটার সময় ডিভিশনের সব রেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন শিয়ালদহের ডিআরএম।
মার্চ মাস থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। প্রায় পাঁচ মাস পর অবশেষে দেখা দিয়েছে আশার আলো। কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে লোকাল ট্রেন চালানো কি বাস্তবোচিত? সূত্রের খবর, সেজন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে শিয়ালদহের রেল কর্তারা। প্রথমত, স্টেশনে টিকিট ছাড়া প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ হতে চলেছে হকারদের প্রবেশও। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি স্টেশনে বসতে চলেছে অটোমেটিক থার্মাল স্ক্যানার। তৃতীয়ত, ট্রেনগুলিকে গ্যালোপিং হিসাবে একটি স্টেশন অন্তর চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে। চতুর্থত, বাড়তি RPF কর্মী নিয়োগের সঙ্গে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশের সাহায্য চেয়েছে রেল।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, ফেসবুক পোস্টে জানালেন নিজেই
শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনে বিভিন্ন শাখায় ৭৬৮টি লোকাল ট্রেন চলে, হাওড়ায় লোকালের সংখ্যাটা ২১২। প্রাথমিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে ২৫ শতাংশ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শিয়ালদহ মূল ফটকের পাশে সংকীর্ণ প্রবেশ ও বেরনোর আলাদা গেট হতে পারে। থার্মাল স্ক্যানার, নিয়মিত স্টেশন স্যানিটাইজ ছাড়াও ট্রেন চলাচলের নিয়ম বেঁধে দেওয়া হতে পারে। একেকটা স্টেশনে অলটারনেট করে গ্যালপ ট্রেন চলতে পারে। রাস্তার পাশের স্টেশনগুলোতে অসংখ্য যাত্রী যাতে ঢুকে না পড়তে পারেন, সেজন্য স্টেশনের বিভিন্ন দিকে RPF প্রহরায় থাকবে।
তাছাড়া দীর্ঘদিন ঘড়ি ধরে কাজ না করায় রেলকর্মীদের একাংশ স্লথ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা। সঙ্গে যাবতীয় যন্ত্রাংশ কতটা সচল রয়েছে তারও পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চলল গুলি, জখম এক পুলিশকর্মী