Site icon The News Nest

জঙ্গলমহলে ভোট মিটতেই NIA-র হাতে গ্রেফতার ছত্রধর মাহাতো, গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

nia

সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে ২ দিন NIA হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ৩০ মার্চ ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এদিন এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন ধৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিললে তদন্তকারীরা দায়ী থাকবেন তার জন্য।

পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ মিটতেই তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে NIA. রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ লালগড়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতারির পর তাঁকে কলকাতায় আনা হয়। শনিবারই ১২ বছর পর প্রথম ভোট দিয়েছিলেন ছত্রধর। ভোট দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথমবার ভোট দেওয়ার অনুভূতি হচ্ছে। কিন্তু সেই শিহরণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দিল না NIA.

২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো। সেই মামলাতেই লালগড়ের তৃণমূল নেতা ছত্রধরকে গ্রেফতার করল এনআইএ।

সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে এনআইএ-র তরফে একাধিকবার ছত্রধরকে তলব করা হয়। কিন্তু ছত্রধর তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি। অভিযোগ, বারবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। শেষবার ভোটের কাজে ব্যস্ততার জন্য যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর। অথচ বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে।

আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসে আরও ভর্তুকি কমাচ্ছে কেন্দ্র, হেঁশেলে ও মধ্যবিত্তের পকেটে আগুন

এরপরই তিনদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। ছত্রধরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই নির্দেশও অমান্য করেন তৃণমূল নেতা। এরপরেই গতকাল মাঝরাতে NIA -এর প্রায় জনা ৪০ জনের একটি বিশাল বাহিনী পৌঁছয় জঙ্গলমহলে। তাঁর শালবনীর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন ছত্রধর।

প্রসঙ্গত, জানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় অন্যতম অভিযুক্ত জঙ্গলমহলের তৎকালীন জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। পরে, সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনেও তাঁর নাম জড়ায়। ইতিমধ্যেই দশ বছরের বেশি জেলবন্দি ছিলেন ছত্রধর। ২০২০-র শুরুতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন ছত্রধর। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের শাসক দলে যোগ দেন তিনি। এমনকী তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্যও করা হয় ছত্রধর মাহাতোকে।

এদিকে, ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। তাঁর অভিযোগ, স্বামী বিজেপি করেনি বলেই এনআইএ তুলে নিয়ে গেছে। কেন এভাবে গ্রেপ্তার করা হল ছত্রধরকে, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে তিনি।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘প্রলয়’ কাণ্ড! সাহায্য চেয়ে বিজেপি নেতাকে মমতার ফোন, ভাইরাল ‘অডিয়ো টেপ’

Exit mobile version