নিজের হলফনামায় ছ’টি ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, তথ্য লুকিয়ে যাওয়ার জন্য মমতার মনোনয়ন বাতিল করা হোক। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পালটা দাবি, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বুঝে এসব অভিযোগ করছেন শুভেন্দু।
যদিও বিজেপি-র অভিযোগ খারিজ করে নন্দীগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন ‘বৈধ’ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টায় মনোনয়নপত্র পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই কমিশনের ওয়েবসাইটে মমতার মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।
মমতার প্রার্থীপদ খারিজ করার দাবিতে সোমবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের প্রতিনিধিরা। শুভেন্দুর প্রতিনিধি মেঘনাদ তার আগেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নি অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: টিকিট একাধিক সাংসদকে, বিজেপির তৃতীয় ও চতুর্থ প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই টলি তারকা -তৃণমূলত্যাগীদের,
এ বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার বিকেলে বলেন, ‘‘ওরা তো নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কমিশনের তরফে নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট তৃণমূল প্রার্থীকে (মমতা) নোটিস দেওয়া হবে। তার জবাব যাবে। তা ছাড়া, কে কোথায় মামলা করে রেখেছে, সেটা সম্পর্কে তথ্য না থাকলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে তা হলনামায় দেওয়া সম্ভব নয়।’’ কুণালের দাবি, ভোটে জামানত হারাবেন বুঝে শুভেন্দু এমন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন দাখিলের সময় হলফনামায় মমতা জানিয়েছিলেন তাঁরা বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলার চার্জ গঠন হয়নি। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ। সোমবারই ছিল মনোনয়ন পরীক্ষার শেষ দিন।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে শাহের সভা বাতিল, বললে লোক পাঠিয়ে দিতাম – কটাক্ষ মমতার