সামনে তৃতীয় দফার ভোট। শনিবার একইদিনে মোদী বনাম মমতার সভায় নজর রাজনৈতিক মহলের। সেই দিনে হুলুস্থুল ফেলে দিল একটি ষাঁড়! মমতার র্যালিতে ঢুকে পড়া সেই ষাঁড় বাবাজীকে বাগে আনতে ঘাম ছুটল পুলিশ কর্মীদের।
শনিবার বিকেলে হাওড়ায় মমতার র্যালির তখন জমজমাট। মানুষের উন্মাদনার মধ্যেই ওনার প্রবেশ। আর তার পরেই কিছুক্ষণের জন্য তৈরি হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা। হাওড়া মধ্য এবং শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে হুইলচেয়ারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় র্যালি করছিলেন। কাজিপাড়া থেকে সম্মিলনী পার্ক পর্যন্ত তৃণমূলনেত্রীর র্যালি হয়। সালকিয়ায় সেই র্যালি শেষের কিছু আগেই এই ষাঁড় ঢুকে পড়ায় চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
শনিবার মমতার টানা কর্মসূচির শেষে রোড শো ছিল হওড়ায়। দুপুরের পরে শুরু হওয়া সেই রোড শো ইছাপুর থেকে হাওড়া ময়দান হয়ে উত্তর হাওড়ার পিলখানা, জিটি রোডের কাছে পৌঁছেও গিয়েছিল নির্বিঘ্নে। কিন্তু ‘ষাঁড়ের তাণ্ডব’ শুরু হল একেবারে শেষলগ্নে।
আরও পড়ুন: বয়ালের বুথে ৮০% ছাপ্পা বিজেপির, তবু জিতব আমিই, দিন শেষে প্রত্যয়ী মমতা
শালকিয়া পৌঁছনোর মুখে জিটি রোডের উপর পিলখানার কাছে হঠাৎই জনবহুল মিছিলে ঢুকে পড়ে ষাঁড়টি। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রের শব্দের দাপটে কিছুটা হকচকিয়ে যায় সে। তারপরই কোনওমতে ভিড় ঠেলে পালাতে এলোমেলো ছুট দিতে শুরু করে।
ভয়ের চোটে ছোটাছুটি শুরু করেন মিছিলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশকর্মী, সকলেই। লাঠি, দড়ি দিয়ে ‘খ্যাপা ষাঁড়’-টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করলেও প্রাথমিক ভাবে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে উপস্থিত জনতার দিকে শিং বাগিয়ে তেড়ে আসতে থাকে সেটি। দড়ি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে সেটিও ছিঁড়ে যায়। শেষে কোনও মতে লাঠি উঁচিয়ে মিছিলের পথ থেকে ষাঁড়টিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিছিলে সাময়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়েছে। কারওর চোট আঘাত লাগেনি। এই কাণ্ডের পরে বাকি রোড শো নির্বিঘ্নেই শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বাংলার বাইরে জায়গা খুঁজছেন মমতা, খোঁচা মোদীর