Site icon The News Nest

‘নগরীর নটী’রা ‘হেরে ভূত’! শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীকে আবারও কটাক্ষ, দিলীপ-কৈলাশদের তুলোধনা তথাগতর

Madan Mitra

একুশের রায়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে BJP-র। কী কারণে দলের এমন ভরাডুবি হল, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে ৬, মুরলীধর লেন। বাংলায় দলের ধাক্কার কারণ খতিয়ে দেখছে দিল্লির নেতৃত্বও। এমনকী, পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে আসরে নামছে RSS-ও। এমন প্রেক্ষাপটে দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের ঘাড়েই দলের ব্যর্থতার কার্যত দোষ চাপালেন BJP নেতা তথাগত রায়।যার জেরে আবারও রাজ্য BJP-র অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে চলে এল।

মঙ্গলবার বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় টুইট করে দলের তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও পার্নো মিত্রকে টিকিট দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে প্রশ্ন করলেন। একই সঙ্গে টিকিট পাওয়ার পরে এই তিন প্রার্থীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথাগত। তাঁদের ‘নগরীর নটী’ এবং দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন প্রমুখকে ‘প্রভু’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার তথাগত টুইট করে বলেন, ‘পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’ তনুশ্রীর নামের বদলে পার্নোর নাম লেখেন প্রথমে তথাগত, তবে পরে আবার রিটুইট করে সংশোধন করে নেন এবং তনুশ্রীর নাম উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি মত দিদির দলকে জিতিয়ে ভোট কৌশল থেকে সন্ন্যাস পিকের 

বেহালার পূর্ব ও পশ্চিমে যথাক্রমে বিজেপির তারকা প্রার্থী ছিলেন পায়েল সরকার এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তনুশ্রী চক্রবর্তী শ্যামপুর থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়ান। কিন্তু কোনও কেন্দ্রেই তাঁদের ফল আশানুরূপ হয়নি। এর আগেও তথাগত বাবু এঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এবং তাঁদের ‘নগরীর নটী’ বলেন।

দোলের দিন সকালে দেখা যায় রঙের উত্‍সবে মিলে গেছে সবুজ-গেরুয়া। কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রর সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে দোল খেলেন বিজেপির তিন অভিনেত্রী প্রার্থী শ্রাবন্তী, তনুশ্রী এবং পায়েল। দেখা যায় জেবিএল সাউন্ড সিস্টেমে লঞ্চে বাজছে গান। তসরের পাঞ্জাবি পরে ড্রাম বাজাচ্ছেন মদন মিত্র। আর গালে আবির মেখে উত্তাল নাচ নাচছেন শ্রাবন্তী, তনুশ্রী এবং পায়েল। সেই ছবি পোস্ট করে তথাগত রায় তখন লিখেছিলেন, “নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবনমদে মত্তা। এই নটীদের এখনও বোধ হয়নি রাজনীতিটা অভিসার নয়। শেষ পর্যন্ত বাসবদত্তার অবস্থা না হলেই ভাল।”

রাজনীতিতে পোড় খাওয়া তথাগতর ‘ভাষা’ নিয়ে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের প্রতি তাঁর ‘ভাষা’ ব্যবহার নিয়ে আগেও বহুবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কিন্তু এ বার সেই একই ‘ভাষা’য় নিজের দলের তিন প্রার্থীকে আক্রমণ করলেন তিনি। যদিও তথাগতর এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতাদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এটা তথাগতর নিজের বক্তব্য। এটি দলের মন্তব্য নয়।’’

ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছিলেন তথাগত। বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে না দিয়ে রুদ্রনীলকে টিকিট দেয় দল। সেই সময়ও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। দল নির্বাচনে খারাপ ফল করার পরে এ বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তথাগত।

আরও পড়ুন: মমতার শপথের দিনেই দেশ জুড়ে ধর্নায় বিজেপি

Exit mobile version