Site icon The News Nest

লকডাউন জের! জোমাটোর পর কোপে সুইগি, চাকরি যাচ্ছে ১১০০ কর্মীর

ওয়েব ডেস্ক: জোমাটো এবং উবরের পর এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১১০০ সুইগি কর্মী। সোমবার সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, করোনা প্যানডেমিকের কারণে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাকে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ছাঁটাই করা হবে ১১০০ কর্মীকে।

জোমাটো এবং উবরের পর এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১১০০ সুইগি কর্মী। সোমবার সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, করোনা প্যানডেমিকের কারণে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাকে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ছাঁটাই করা হবে ১১০০ কর্মীকে।

আরও পড়ুন: সুপার সাইক্লোনের আকার নিচ্ছে আমফান, বাংলায় জারি কমলা সতর্কতা! বৈঠকে মোদী

চিঠিতে শ্রীহর্ষ লেখেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত হেড অফিস-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, নানা পদে কর্মরত ১১০০ কর্মীর থেকে আমাদের রাস্তা আলাদা হয়ে যাচ্ছে।’’ যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে তাঁদের সঙ্গে এইচআর বিভাগ থেকে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি। তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানান।

সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের সকলকে কমপক্ষে তিন মাসের  বেতন দেওয়া হবে। এ ছাড়াও যত বছর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তা হিসাব করে প্রত্যেক বছরের জন্য বাড়তি একমাস করে বেতনও দেওয়া হবে কর্মীদের।

সুইগির প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বলেন, “যদিও কোভিডের প্রভাব কাটিয়ে ধীরে ধীরে ডেলিভারি ব্যবসা এবং ডিজিটাল বাণিজ্যের কাজ শুরুর অনুমতি মিলেছে, কিন্তু এই অনিশ্চয়তা কত দিন টিকে থাকবে তা কেউ জানে না, এটা দীর্ঘমেয়াদী”।

নোভেল  করোনার প্রকোপ সামাল দিতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। তার জেরে বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তরাঁই বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইনে খাবার সরবরাহে অনুমতি দিলেও, হাতে গোনা কিছু রেস্তরাঁই খোলা রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেঙ্গালুরুতে সুইগির সদর দফতর। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা জানা নেই। তাই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীহর্ষ। লকডাউনের জেরে বেশ কিছু কিচেন ফেসিলিটিও তাঁদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গোল্ডম্যান সাচের দুই অর্থনীতিবিদ প্রাচী মিশ্র ও অ্যান্ড্রু টিলটন গত ১৭ মে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। তাতে বলেন, ২০২১ সালের আর্থিক বছরে প্রকৃত জিডিপি কমবে পাঁচ শতাংশ। এর ফলে ভারত এমন মন্দার কবলে পড়বে যা অতীতে কখনও পড়েনি।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত আরও ৫২৪২, আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়াল

Exit mobile version