Site icon The News Nest

সারেনি আমফানের ক্ষত, কলকাতা-সহ ৬ জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

army

কলকাতা: আমপানের জের কাটার আগেই ফের দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের পূর্বাভাস। চলতি সপ্তাহ জুড়ে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, জানাল আবহাওয়া দফতর।  শুক্রবারের মধ্যে কলকাতা-সহ ৬ জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস।

আমফানের ঘা কবে শুকোবে, তার ঠিক নেই। চারিদিকে এখনও স্পষ্ট ধ্বংসের চিহ্ন। এর মধ্যেই নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের গুজবে কাঁটা হয়েছে বঙ্গবাসী। এরই মধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় ফের শুরু হল ঝড়-বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর অবশ্য আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। জানিয়েছিল , মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহারে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন: হতশ্রী! ক্ষতির হিসেব করতেই অবশেষে খুলে গেল বইপাড়া

দক্ষিণের মতো উত্তরবঙ্গের আকাশেও ঝড়বৃষ্টির মেঘ। হাওয়া অফিসের হিসেবে,  বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ৷সোমবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ধূপগুড়ি, বানারহাট, বিন্নাগুড়ির জায়গায় জায়গায় জল জমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ভারী বৃষ্টিপাত হয় ভুটান সীমান্তেও।

জুনের শুরুতে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার হাত ধরে কেরালায় বর্ষা আগমনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। সেটিও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তার কোনও ইঙ্গিত নেই আপাতত।

এই ক্ষত সারবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এখন বহু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। এমন দানবীয় ঝড় শেষ কবে দেখেছেন মনে করতে পারছেন না দুই ২৪ পরগনার মানুষ। মেদিনীপুরের অবস্থাও করুন। বহু জায়গায় এখনও রাস্তার ধারে গাছ পরে রয়েছে। এত বেশি গাছ পড়েছে যে তা এত দ্রুত কেটে সরিয়ে ফেলা যায়নি।

আরও পড়ুন: নেই মেহেন্দির রং, আতরের খুশবু, হালিমের সুগন্ধ…এমন বিষন্ন ঈদ কলকাতা আগে দেখেনি

Exit mobile version