Site icon The News Nest

বাড়ছে পর্যটন, আপনিও উইক এন্ডে ঘুরে আসুন বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই-এ

KHIRAI

ফুলের বাগান দেখতে অনেকেই ছোটেন কাশ্মীর কিংবা সিকিম। কিন্তু জানেন কি ঘরের কাছে বাংলাতেই রয়েছে বাহারি ফুলের বাগান! বিঘার পর বিঘা জুড়ে ছড়িয়ে নানা রঙের লক্ষ লক্ষ বাহারি ফুল। ঘরের কাছেই রয়েছে বাংলার ‘ফুলের উপত্যকা’ ক্ষীরাই।

এই শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকা, এ্যাস্টার, গাঁদা, গোলাপ, মুরগাই, গ্ল্যাডুওলাস সহ একাধিক ফুল পাঁশকুড়ায় হয়ে থাকে। শীতের মরশুম এলেই পাঁশকুড়ার একাধিক গ্রাম রঙিন সাজে সেজে ওঠে। যা দেখে প্রকৃতিপ্রেমী ও ফুল প্রেমী মানুষ মুগ্ধ না হয়ে থাকতে পারেন না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁশকুড়া এলাকায় বহু মানুষ আসেন কয়েকঘন্টার ছোট্ট ট্যুরে। একঘেঁয়েমি জীবনের কিছুটা স্বাদ বদলাতে। কয়েকবছরে এমন মানুষের সংখ্যাটা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে।

ক্ষীরাই আসলে একটি নদীর নাম আর সেই নদীর নামেই গ্রামের নামকরণ হয়েছে। এটা যেন এক রূপকথার দেশ ,আঁকা ছবির মতন রঙিন ও সুন্দর। তবে এখানে হয়তো পাবেন না তুষারাবৃত পাহাড়ি সুবাস। তবে পাবেন বাংলার নির্ভেজাল স্বাদ ও নদী-ঘর-মাঠ-মানুষ নিয়ে ভরা প্রকৃত ‘বাংলার মুখ’। এ সব কিছুর মাঝে আপনাকে যা টানবে, তা হল হাজারো ফুলের প্রাণ খোলা দোলা। দেখে মনে হবে যেন, নানা রঙে ঢেউ বইছে বিঘার পর বিঘা জুড়ে! ফুল তো অবশ্যই প্রধান আকর্ষণ, তাছাড়াও আছে নানা পাখি প্রজাপতি ফড়িং আর পোকামাকড়। সবটা মিলিয়ে বলা যেতে পারে এই সময় প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধে ভরিয়ে রাখে ক্ষীরাই উপত্যকাকে।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর গামী ট্রেন ধরে পাঁশকুড়ার পরের স্টেশন ক্ষীরাই। সময় লাগে ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট মতন।ক্ষীরাই স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন ধরে বরাবর পাঁশকুড়ার দিকে প্রায় ২০ মিনিট মতো হেঁটে সরু মাটির রাস্তা বরাবর কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কসাই নদীর দুদিকেই ফুলে ফুলে ভরা ক্ষীরাই।

অথবা, পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে টোটো রিজার্ভ করে সরাসরি পশ্চিম কোল্লা বা ক্ষীরাই

আরও পড়ুন: জল, পাহাড়, জঙ্গল! কলকাতার খুব কাছেই অল্প খরচে ঘুরে আসুন এই শীতে

★বিশেষ সতর্কীকরণ:-

১)ক্ষীরাইয়ের ফুল বাগান সংলগ্ন সেভাবে কোনো দোকানপাট নেই।তাই আগে থেকে শুকনো খাবার ও জল নিয়ে যেতে হবে।

২)ফুল ছেঁড়া বা ফুলে হাত দেওয়া যাবেনা

৩)প্লাস্টিক,পলিথিন ও থার্মোকল জাতীয় দ্রব্য ক্ষেতে না ফেলে আসাই শ্রেয়।

৪)সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসার জন্য ক্ষীরাই আদর্শ স্থান।যদি কেউ রাত্রিযাপন করতে চান তবে সেক্ষেত্রে পাঁশকুড়া/মেচেদায় রাত্রিবাস করতে হবে।

৫) তবে ভ্রমনার্থী বাড়ার সাথে সাথে চিন্তিত কৃষকেরাও। বহু ভ্রমনার্থীরা ক্ষতি করছেন অনেকসময় গরীব কৃষকদের ফুল ও গাছ। তাই সাবধানে থাকুন।

আরও পড়ুন: শীত উপভোগ করতে চান? রইলো কলকাতার আশেপাশে পিকনিক স্পটের সুলুকসন্ধান

 

Exit mobile version