Site icon The News Nest

Valentine Weekend: সঙ্গীর হাত ধরে ঘুরে আসুন এই জায়গাগুলো থেকে…

Henry Image Banner Image 768x432 1

আর মাত্র দু’দিন বাকি। তারপরেই ভ্যালেন্টাইনস-ডে। এ বছর ভ্যালেন্টাইনস-ডে তো আবার উইকেন্ডে। শনি-রবি দু’দিন পাচ্ছেন হাতে। নিশ্চই হালকা করে একটা ট্রিপের কথাই ভাবছেন। সেই ভাবনাতেই সাহায্য করছি আপনাকে আমরা। কাপলদের জন্য উইকেন্ডের সেরা ৯ ডেস্টিনেশনের নাম রইল আপনার জন্য।

শান্তিনিকেতন: বাঙালির প্রেম আর শান্তিনিকেতন দুটোই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত দুটো শব্দ। প্রেম করেছে কিন্তু শান্তিনিকেতন যায়নি এইরকম কাপল খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। কী বলছেন? এখনও একবারও শান্তিনিকেতন যাওয়া হয়নি? তাহলে আর দেরি কীসের? এই ভ্যালেন্টাইনস উইকএন্ডে শান্তিনিকেতনটা হয়ে যাক।

কীভাবে যাবেন: গাড়ি করে গেলে লাগবে ঘণ্টা তিনেক। এ ছাড়া শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে বিভিন্ন ট্রেন পাবেন। এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পাওয়া গেলে লোকাল ট্রেনও বুক করতে পারেন।

হেনরি আইল্যান্ড: ভ্যালেন্টাইনস উইকেন্ডে একান্তে সময় কাটানোর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন এটি। সঙ্গে উপরি পাওনা হল সমুদ্র। গাছ এবং সবুজে ঘেরা ট্যুরিস্ট স্পটে সামান্য কিছু দূরে দূরে রয়েছে কিছু কটেজ। ঘুম ভাঙবে পাখিদের কলকাকলির শব্দে।

কীভাবে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকাল করে শেষ স্টেশনে নামবেন। স্টেশনের নাম যথারীতি নামখানা। সেখান থেকে বাস বা ট্রেকারে করে আরও এক ঘণ্টা যেতে হবে হেনরি আইল্যান্ডে। আইল্যান্ডের ভিতরে টোটো যাবে আপনাকে কটেজ অবধি পৌঁছে দিতে।

টাকি: ইছামতি নদীর ধারে পারফেক্ট কাপল ডেস্টিনেশন এটি। বাংলাদেশ বর্ডারের পাশেই হবে আপনার ট্যুরিস্ট লজ। বারান্দা থেকে দেখতে পাবেন নদীতে ভারত এবং বাংলাদেশের পতাকা লাগানো নৌকাগুলোকে একসঙ্গে চলছে।

কীভাবে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে বসিরহাট লোকালে টাকি স্টেশন। তারপর একটা টোটো বা ভ্যানে সোজা টাকি লজ। প্রাইভেট গাড়ি থাকলে লং-ড্রাইভে যাওয়ার জন্য খুব ভাল রাস্তা রয়েছে।

আরও পড়ুন: গুলমার্গে বসেই নর্থপোলের অভিজ্ঞতা! তৈরি হল ভারতের প্রথম ইগলু রেস্তরাঁ

ভালকিমাচান: ‘অরণ্য সুন্দরি’ রিসর্ট। ভালকিমাচানের একমাত্র থাকার জায়গা। জঙ্গলে ঘেরা নির্জনতায় সময় কাটানোর এক অসামান্য ঠিকানা এটি।

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ১৩৫কিমি দূরত্বে বর্ধমানের এই ডেস্টিনেশন। গাড়িতে যাওয়াটাই শ্রেয়। না-হলে বর্ধমান স্টেশনে নেমে ৪৩কিমি গাড়িতে যেতে পারেন।

বাওয়ালি: ভ্যালেন্টাইনস উইকেন্ডে রাজকীয়ভাবে আতিথেয়তা পেতে চান? তাহলে আপনাকে যেতেই হবে বাওয়ালি রাজবাড়িতে।

কীভাবে যাবেন: নিজের গাড়িতে যেতে পারেন। এ ছাড়াও বজবজ নেমে গাড়িতে যেতে পারেন এখানে।

তাজপুর: দীঘা-মন্দারমনিতে খুব ভিড়? সেখানে যেতে চান না? এ দিকে সমুদ্রপাড়ে বেড়াতে যেতে চান? তবে তাজপুর ঘুরে আসুন চটপট।

কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে যাবেন কাঁথি পর্যন্ত, তারপর গাড়িতে তাজপুর। লং-ড্রাইভেও যেতে পারেন তাজপুর।

গড়পঞ্চকোট: জায়গাটা পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট। স্থাপত্য এবং ইতিহাসে ঠাসা জায়গাটি একান্তে কাটানোর জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।

কীভাবে যাবেন: আসানসোল বা বরাকর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে গাড়ি বা অটো করে যাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:

ইটাচুনা: ইটাচুনা রাজবাড়ি। জনঅরণ্য থেকে খানিক দূরেই হুগলির এই রাজবাড়ি। ইতিহাস যারা ভালবাসেন তাঁদের জন্য এটি একটা পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।

কীভাবে যাবেন: ইটাচুনা রাজবাড়ি এবং সঙ্গে একটা পারফেক্ট লং-ড্রাইভ আপনার ট্রিপকে পরিপূর্ণতা দেবে।

বৈদিক ভিলেজ: বেশি দূর নয়। রাজারহাটের যানজট থেকে একটু দূরেই আপনার ট্র্যাভেল ডেস্টিনেশন বৈদিক ভিলেজ। সবুজে ঘেরা কটেজগুলো উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে ভীষণই রোম্যান্টিক।

কীভাবে যাবেন: অবশ্যই গাড়িতে যাবেন। রাজারহাট থেকে মাত্র ২০ মিনিট।

আরও পড়ুন: ক্যালেন্ডার মিলিয়ে বেড়ানোর প্ল্যান করুন, জেনে নিন ২০২১-এ কতগুলো ছুটি?

Exit mobile version