Site icon The News Nest

অমানবিক Dhupguri : জাতীয় সড়কের কাছে কাতরাচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা, এগিয়ে এলেন না কেউ

rain 1

মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে জাতীয় সড়কের ধারে শুয়ে কাতরাচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন (Mentally Challenged) এক মহিলা। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল না কেউ! চরম অমানবিকতার ছবি ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। অভিযোগ, রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে  বহু মানুষ, ছুটছে একের পর এক গাড়ি, তবে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি।

তখন ঘড়িতে রাত ১০টা। ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর মায়ের থান সংলগ্ন এসটিএস ক্লাবের পাশে ফুটপাতে শুয়ে কাতরাতে দেখা যাচ্ছে এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে। রোজই তাকে দেখা যায়, ধূপগুড়ি সুপার মার্কেট মোড় সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ঘুরে বেড়াতে। খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। কোনও থাকার জায়গা নেই। ফুটবাসীই বলা চলে। আর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।

আরও পড়ুন: Belur Math: আজ থেকে খুলছে বেলুড় মঠ, প্রবেশে থাকছে কড়া নিয়মবিধি

এখান দিয়ে ধূপগুড়ি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি লক্ষ করেন ওই মহিলা ফুটপাথে শুয়ে কাতরাচ্ছে। তখন তিনি গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। কয়েকজন দোকানদারকে ডেকে টোটোতে করে হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। তারপরই বিধায়ক বিষ্ণু পদ রায় বলেন, ‘‌এটা লজ্জার বিষয়। আমি নিজেও পৌরসভা এলাকার নাগরিক। আমি প্রশাসনকেই দায়ী করব। বৃষ্টির মধ্যে শহরে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আমার নজরে আসতেই মানবিকতার দিক থেকে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখানকার পৌর প্রশাসন যে ব্যর্থ এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’‌

স্থানীয় বাসিন্দা মহেশ দাগা বলেন, এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা যে ভাবে রাস্তার পাশে বৃষ্টিতে পড়ে রয়েছে মৃত পারত তাঁর। আমরা আশেপাশের বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন তাঁকে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করি। রাতে খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু রাতে ঘুমানোর জন্য তার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। আমাদের দাবি প্রশাসনের তরফে তাঁদের একটা থাকার ব্যবস্থা করা হোক।

আরও পড়ুন: সোম থেকে শুক্র দিনে ১২০ জোড়া, শেষ মেট্রো রাত ৯টায়, দেখে নিন সময়সূচি

Exit mobile version