Site icon The News Nest

পুজোর আগেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু, সবচেয়ে বেশি পেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা

duare

পুজোর আগেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য সুখবর। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ (Laxmi Bhandar) যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। সোমবার নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সেই বরাদ্দ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের একটি অংশের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়েছে। তাঁদের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার পর প্রথম পর্যায়ে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পরের পর্যায়ে দফায় দফায় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে টাকা বরাদ্দ করবে রাজ্য সরকার। গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। শেষ হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে শিবিরে এসেছিলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Poll: ‘১ লক্ষের বেশি ভোটে জিতবেন মমতা’, বীরভূমের দুই পীঠে হোমযজ্ঞ দিদির কেষ্টর

মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই লক্ষ্ণীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো সেপ্টেম্বর মাস থেকেই সেই টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার।সূত্রের খবর সেপ্টেম্বর থেকে যেহেতু টাকা দেওয়ার কথা তাই অক্টোবরে কেউ যদি টাকা পান তাহলে তিনি ২ মাসের টাকা পাবেন। নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর থেকে ওই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

যে ২২টি জেলা ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা পেয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাগে গিয়েছে ২৯ লাখ টাকা। এরপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৬ লাখ টাকা। মালদহ ও পশ্চিম মেদিনীপুর পেয়েছে ১০ লাখ টাকা করে। হুগলি পেয়েছে ১৩ লাখের বেশি, পূর্ব বর্ধমান ও হাওড়া পেয়েছে যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ লাখেরও বেশি টাকা।

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে খুশির খবর, ৫০ শতাংশ বাড়িতে দুয়ারে রেশন, নয়া নির্দেশ দিল খাদ্য দফতর

Exit mobile version