উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম ভবানীপুর। জোরকদমে চলছে প্রচার। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়কামনায় বীরভূমের নলাটেশ্বরী মন্দির ও তারাপীঠে যজ্ঞ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তাঁর মতে, ভবানীপুরে মমতার জয়ের জন্য পুজো বা যজ্ঞ করার প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবেন।
একুশের ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অল্প ভোটের ব্যাবধানে হেরেছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। ভোটের ফলাফল নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। মমতার পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকারে ‘বিশেষ অনুরোধ’-এ শুধুমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার তৃণমূলনেত্রী নিজেই প্রার্থী। মনোনয়ন পেশে করার পর প্রচারেও নেমে পড়েছেন মমতা।উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়কামনায় বীরভূমে সতীপীঠ নলাটেশ্বরী মন্দির ও সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে পুজো দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। চলল হোমযজ্ঞ।অনুব্রতের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত সিংহ, লহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ-র স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা।
ঝড়ের মুখে পড়া পাখির মত অবস্থা বিজেপির। যে বিধায়করা এখনও দলে আছেন তাদের আটকে রাখাটাই তাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মমতার দল ভাঙার ছক যে এমন করে এত দ্রুত বুমেরাং হবে তা গেরুয়া নেতারা ভাবেননি। সোনা যাচ্ছে দিল্লির নেতারা নাকি এখন আর তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যারা একসময় বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতেন, তারা বাংলার মাটি চিনতে পারেননি। এখানে শুধুই বিদ্বেষ বিক্রি হয় না। এটা বিজেপি যতদিন না বুঝতে পারবে, ততদিনে এই মাটিতে সফল হবে না। পদ্ম ফোটাতে গেলে আগে পাঁক তৈরী করতে হয়। সেটা করতেই এখানে ব্যর্থ আরএসএস।