Site icon The News Nest

নন্দীগ্রামে ‘কায়দা’ করে জিতেছিলেন শুভেন্দু! একুশের ফল নিয়ে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ-রাজীব

nandigram

একুশের নির্বাচনে যে কেন্দ্রগুলি নজরকাড়া ছিল তার মধ্যে একটি নন্দীগ্রাম। যেখানে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তার মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌নন্দীগ্রামে আমি হেরে গিয়েছি। আমাকে এমনটাই বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের দিন আমাকে ফোনে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তিনি হেরে গিয়েছেন। কিন্তু পরে কীভাবে তিনি জিতে যান? তা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ”আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আবার ভোট হোক। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, স্বচ্ছ ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে? উনি ভোটের দিন বলেছিলেন, আমায় নন্দীগ্রামে হেরে গেছি। কোন জাদুবলে আবার পালটাল? এই বিরোধী দলনেতার দর বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন না। কথা বলতে পারেন না।”

আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2022: মাধ্যমিক চলাকালীন কেন বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট? হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে সমর্থন করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘২ মে বিকেল ৫টায় আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলি মাননীয়া নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। আর আমাদের প্রার্থী শুভেন্দু নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু পরে শুভেন্দুকে আমি যখন বলি তুমি তো হেরে গিয়েছিলে। আবার জিতলে কীভাবে? জবাবে তিনি রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, অনেক কিছু করতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যখন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে জানলাম, আমি মিটিংয়ে ছিলাম। দিলীপবাবুর অনীহা ছিল শুভেন্দুবাবুর যোগদানে। ওই সময় শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে নানা কেস অন্তরালে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হল। আমি দেখিয়েছিলাম, নারদা নিয়ে শুভেন্দুর ভিডিও। জিজ্ঞাসা করেছিলাম বিজেপিতে আসার কারণ। তখন বলা হয়, নিজেকে বাঁচাতে বিজেপিতে আসতে হচ্ছে। তারপর উনি সনাতনী বিজেপি হয়ে উঠলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তের হাত থেকে বাঁচব – এটাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।”

আরও পড়ুন: Malda Fire: হঠাৎ করেই ঘরের দেওয়ালে জ্বলে উঠছে আগুন! আতঙ্ক গোঘাটে

Exit mobile version