Site icon The News Nest

এবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ থেকে সরানো হল Suvendu Adhikari- কে

Suvendu Adhikari 1

আরও এক সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ খোয়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ধাঁচেই এবার তাঁকে সরানো হল মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদ থেকে।

বৃহস্পতিবার সমবায় ব্যাঙ্কের মেদিনীপুরের দফতরেই ডিরেক্টরদের এক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই ১৪ জন সদস্য তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। গত অগস্ট মাসেই মেদিনীপুরে ওই সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান শাখাতেই বিরোধী দলনেতাকে সরাতে এক বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ে গেল বৃহস্পতিবার।

২০০৮ সালে থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতির পদে ছিলেন অধিকারী পুত্র। রাজ্যের মন্ত্রিত্ব পদে থাকাকালীন ব্যাঙ্ক সভাপতির দায়িত্ব পান। সাধারণত, দুবছর পর্যন্ত সভাপতির পদে আসীন থাকা যায়। অভিযোগ, নিজ ‘পদবলে’ সভাপতির চেয়ার ‘আঁকড়ে’ ছিলেন অধুনা বিজেপি নেতা। বিধানসভা নির্বাচন আবহে দল ও পদত্যাগ করলেও সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ ছাড়েননি শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক পরিচালন কমিটির অনাস্থা পেশের পরেই, হাইকোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু। রাজ্যের অর্থ দফতরের স্পেশাল অডিটের নির্দেশে সেই মামলার স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই সভাপতির পদ থেকে  অপসারিত করা হয় শুভেন্দুকে।

আরও পড়ুন: বারুইপুরে ফার্নিশ ব্লাস্ট, আহত কমপক্ষে ১৫ শ্রমিক, চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

এ ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনেছেন সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টররা। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে ব্যাঙ্কের বহু কাজ করা যাচ্ছিল না। এমনকি বহু সিদ্ধান্তও নাকি ঝুলে রয়েছে তাঁর অনুপস্থিতির কারণেই। তাই সমবায় ব্যাঙ্কের বৈঠকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল বিধায়ক দিনেন রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এই পদে বসিয়েছিলেন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন। তখনই তাঁর এই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্ত তিনি ইস্তফা না দেওয়ায় তাঁকে সরাতে বাধ্য হলেন সমবায়ের ডিরেক্টররা।’’ ১৫ জন বোর্ড সদস্যের মধ্যে ১৪ জন বৈঠকে হাজির হয়ে তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন বলেই দাবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিশুর শরীরে ঘাতক স্ক্রাব টাইফাস! সন্ধান মিলতেই পদক্ষেপ নিল রাজ্য

Exit mobile version