Site icon The News Nest

লাগাতার ছাত্রবিক্ষোভে অশান্ত Visva Bharati, গৃহবন্দি উপাচার্য, বন্ধ ভরতি প্রক্রিয়া

BISWA VARATI

তুমুল বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতীর তিনজন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে গত ২৭ অগস্ট রাত থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। উপাচার্যের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর জেরে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেকারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি কৌশলে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে ভর্তির সঙ্গে উপাচার্যের বাড়ি থেকে বের হওয়ার কী সম্পর্ক রয়েছে বোঝা যাচ্ছে না?

সোমবার সকালে গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়।গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যদেরও অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন। তারই প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ-আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও উপাচার্য কেন নিশ্চুপ, কেন উপাচার্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন না, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। উপাচার্যের আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মিছিল শেষে তাঁর বাসভবনের সামনে একটি ব্যানার টাঙাতে যায়। তাতেই বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। দু’পক্ষের বচসায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপাচার্যের বাসভবন চত্বর। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আপাতত ভরতি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: দুপুর দুটোয় ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু Mamata Banerjee -র, থাকতে পারে প্রশ্নোত্তরের সুযোগও

উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন।

তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একপ্রস্থ তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। পরে উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’ ঘেরাও করেন তারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘তালিবান উপাচার্য দূর হটো’। শুক্র এবং শনিবার রাতভর ঘেরাও উপাচার্য। রবিবারও দিনভর জারি ছিল পড়ুয়াদের আন্দোলন।

আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার পেট্রোল পাম্প বন্‌ধের ডাক

Exit mobile version