নিম্নচাপের জের। বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে ভাসছে গোটা রাজ্য। কখনও কখনও গতি কমলেও থামছে না বৃষ্টি। ফলে কম-বেশি সকলেই ঘরবন্দি। জল যন্ত্রণায় জেরবার কলকাতা (Kolkata)-সহ গোটা বাংলার মানুষ। আগামিকালও বৃষ্টিতে ভাসবে রাজ্য। ৬ জেলায় জারি লাল সতর্কতা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, পূ্র্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। এই ছয় জেলায় জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জারি কমলা সতর্কতা। বৃষ্টিতে ভাসবে বীরভূমস মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও নদিয়াও।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে মেদিনীপুর শহরে। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৩০ মিমি। তার পরেই রয়েছে বন্দরশহর হলদিয়া। সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৫ মিমি। এছাড়া ক্যানিংয়ে ১৮৫ মিমি, কলাইকুন্ডায় ১১৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়ায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিমি, ডায়মন্ড হারবারে ৯২ মিমি। কলকাতায় ৭৫.৬ মিমি। বলে রাখি, এই পরিসংখ্যানে বৃহস্পতিবারের বর্ষণের তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ধরা পড়ল ভুয়ো আইপিএস, এনআইএ অফিসার পরিচয়ে জালিয়াতি
কার্যত গোটা কলকাতাই জলের নিচে। সপ্তাহের মধ্যভাগে টানা বৃষ্টির জেরে রীতিমতো সমস্যায় সাধারণ মানুষ। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে অফিসে যেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে। এসবের মাঝে এক হাঁটু জল পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে নাজেহাল চাকুরিজীবীরা।
হলদিয়া টাউনশিপ এলাকা রীতিমতো জলের নিচে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় আটকে জল, সেই কারণে এদিন ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিভিন্ন এলাকায় ঘরের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে জল। আগামিকালও টানা বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: নতুন দায়িত্বে Firhad, মমতার জমানায় প্রথমবার HIDCO-র চেয়ারম্যান রাজ্যের মন্ত্রী