Site icon The News Nest

‘করোনা মৃত্যুমিছিল নিয়ে রাজনীতি করবেন না’, ট্রাম্পকে পাল্টা হু-কর্তার

tredas

ওয়েব ডেস্ক: সংক্রমণ যদি রুখতে হয়, মৃত্যুমিছিল যদি থামাতে হয়, তাহলে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, দোষারোপ নয়, এক হয়ে লড়াই করতে হবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস।

আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! করোনা রুখতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত ওড়িশার

বিশ্বজুড়ে মহামারির মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছে চিন ও আমেরিকার টক্কর। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। আর চিনের সঙ্গে মার্কিন মুলুকের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। এর আগে একাধিকবার ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, করোনার প্রকোপ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে চিন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের যে সংখ্যা দেখাচ্ছে চিন, তাতে গলদ আছে। আসল তথ্য চেপে গোটা বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে তারা। নিজেদের দেশে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে চিন। সংক্রমণ থেমে যাওয়ার যে দাবি তারা করেছে সেটাও সত্যি নয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে ট্রাম্প বলেছিলেন, করোনা যে মহামারী হতে চলেছে এই ব্যাপারে তাদের সতর্ক করেনি হু, এমনকি ভুল বার্তাও নাকি দেওয়া হয়েছিল। হু-কর্তা টেড্রসের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হু চিনের হয়েই কাজ করছে, এমনও অভিযোও ছিল তাঁর। ট্রাম্পের অভিযোগেরই পাল্টা টেড্রস এদিন বলেন, এটা দোষারোপের সময় নয়। দেশকে বাঁচাতে হলে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেনজির আক্রমণের পরই রুখে দাঁড়িয়েছে হু। সংস্থাটির প্রথম আফ্রিকান প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম কড়া ভাষায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেছেন, “করোনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রয়োজন নেই। রাজনীতির ময়দানে দাঁও হাঁকড়ানোর অন্য অনেক পথ আছে। আপনি যদি আরও কফিন দেখতে না চান তাহলে এই মহামারি নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন।”

আরও পড়ুন: করোনা-বিপর্যয়ের জেরে দারিদ্র্যের কবলে পড়বে ভারতের ৪০ কোটি নাগরিক

জেনেভা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে টেড্রস বলেন, “চিনকে কাঠগড়ায় না তুলে বরং বেজিংয়ের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভয়ঙ্কর এই শত্রুকে থামাতে হলে একজোট হওয়া সবচেয়ে আগে দরকার।” দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের এই খেলায় লাভ কিছু হবে না, বলেন হু-কর্তা। তাঁর কথায়, “এখন সব রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্রনেতাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল তাদের নাগরিকদের বাঁচানো। ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুন। আরও বেশি মানুষকে মর্গে পাঠাতে না চাইলে, রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সংহতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া উচিত।”

করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে চিন, ইতালি, স্পেনকে ছাড়িয়ে গেছে আমেরিকা। আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখের বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। এত মৃত্যুর কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছে আন্তর্জাতিক মহল। দেশবাসীদেরও একটা বড় অংশেরও অভিযোগ, সঠিক সময় লকডাউনের পথে যায়নি সরকার। সামাজিক মেলামেশায় লাগাম টানা হয়নি। আন্তর্জাতিক উড়ানও বন্ধ করা হয়নি। এরই মাঝে নিউ ইয়র্ক টাইমের একটি রিপোর্ট বলেছিল, ট্রাম্প সরকার যবে থেকে আন্তর্জাতিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, তারও অনেক আগেই চিন থেকে চার লক্ষেরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে পড়েছিলেন মার্কিন মুলুকে। উহান থেকে সরাসরি উড়ানে আমেরিকায় ঢুকেছিলেন হাজার দুয়েক। সেই কারণেই সংক্রমণ মহামারীর পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে গরিবদের দিন, অর্থনীতি বাঁচাতে দাওয়াই নোবেলজয়ীর

Exit mobile version