পুরী: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়াল ওড়িশা। নবীন পট্টনায়েকের সরকার ঘোষণা করেছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হবে সেখানে। ওড়িশায় প্রথম রাজ্য, যেখানে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন: করোনা-বিপর্যয়ের জেরে দারিদ্র্যের কবলে পড়বে ভারতের ৪০ কোটি নাগরিক
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যাতে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার। কেন্দ্রকেও সেই একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে এনেছে করোনাভাইরাস। জীবন আর একই রকম থাকবে না। এটা আমাদের সবাইকে অবশ্যই বুঝতে হবে এবং সবাই মিলে দৃঢ়ভাবে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের ত্যাগ ও ঈশ্বর জগন্নাথের আশীর্বাদে এই দিন কেটে যাবে।’
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়ে গরিবদের দিন, অর্থনীতি বাঁচাতে দাওয়াই নোবেলজয়ীর
সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ১৭ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ গরমের ছুটি কাটিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। উল্লেখ্য, ভারতের অনেক রাজ্যের থেকে ওড়িশার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ওড়িশায় মোট আক্রান্ত ৪২।
দেশ জুড়ে চলতে থাকা লকডাউন ১৪ এপ্রিল উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও, তেমনটা যে হচ্ছে না সেটা নিশ্চিত। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন তোলা সম্ভব নয়।তবে তার মধ্যেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সামাজিক দূরত্ব রেখেই বিভিন্ন পর্যায়ে কী ভাবে লকডাউন তোলা হতে পারে, তার খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। এই খসড়া নীতি আয়োগ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনসাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে বলে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ওই খসড়া অনুযায়ী গোটা দেশকে চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। গত সাত দিনে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং জনঘনত্ব অনুযায়ী সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা কোথায় সবথেকে বেশি— এই তিনের মাপকাঠিতে রাজ্যগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত মোট ৫৭৩৪, মৃত্যু ১৬৬ জনের