ইস্তফার সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল, নতুন সভাপতি খোঁজা শুরু করলেন কেসি বেনুগোপাল এবং আহমেদ পটেল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: কিছুতেই নিজের সিদ্ধান্ত বদল করছেন না রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্তেই অনড় তিনি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিকল্পের সন্ধানও শুরু করে দিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।

আগামী কয়েকদিনে রাহুলের যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল, সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দলের একটি শীর্ষ সূত্রের দাবি, নতুন সভাপতি খোঁজার জন্য কংগ্রেসের দুই বর্ষীয়ান নেতা কেসি বেনুগোপাল এবং আহমেদ পটেলকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন রাহুল। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর শনিবার দলের কার্যকরী কমিটির বৈঠকেই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। বরং দলের দুঃসময়ে এবং লোকসভা ভোটে মোদী তথা বিজেপিকে তিনিই একমাত্র চাপে ফেলতে পেরেছেন বলে রাহুলকেই দলের সভাপতি পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওয়ার্কিং কমিটির নেতা-নেত্রীরা। এমনকি, সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কাও তাঁকে বুঝিয়ে তখনকার মতো নিরস্ত করেন।

সে দিনের মতো বিষয়টি মিটে গেলেও পরে ফের কঠোর অবস্থান নেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, সনিয়া-প্রিয়ঙ্কা আরও এক দফা বুঝিয়েও রাজি করাতে পারেননি এবং তাঁরাও শেষ পর্যন্ত রাহুলের সিদ্ধান্তেই সায় দিয়েছেন। অসংখ্য নেতা-নেত্রী ফোনে বা দেখা করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এই দু’দিনে। কিন্তু দলের একাধিক সূত্রে খবর, রাহুল আর কোনও ভাবেই কংগ্রেস সভাপতির পদে ফিরতে রাজি হননি। কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সাংসদরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার আর্জি নিয়ে ফোন করেছিলেন। কিন্তু রাহুল কারও সঙ্গেই সাক্ষাতে রাজি হননি। তাঁর সমস্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট, বৈঠক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি সব কিছুই বাতিল করেছে দল। সেটাও যে রাহুলের নির্দেশেই হয়েছে, দলের অন্দরমহলে খবর তেমনই। রাহুলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পদ ছাড়ার ব্যাপারে আর কোনও দ্বিমতই নেই। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শুধু নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন করা পর্যন্ত দায়িত্বভার সামলাবেন তিনি। সেই সময়টুকু দলকে দিতে সম্মত হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যেও দলের সাংগঠনিক বা অন্য কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেবেন না বলেই সূ্ত্রের খবর।
অন্যদিকে, ভোটের ফলপ্রকাশের পরে এদিন সকালে প্রথম টুইট করেন রাহুল। সোমবার ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। তিনি লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে বিশ্বে আরও অনেক গণতান্ত্রিক দেশের জন্ম হয়েছিল। তাদের অনেকেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। সেখানে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জওহরলাল নেহরুজির মৃত্যুদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি শক্তিশালী, স্বাধীন, আধুনিক শিল্পোন্নত দেশ গঠন করে গিয়েছেন। তার ফলে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest