#লখনউ: সরকারি হাসপাতালের কোন বিভাগে হবে চিকিৎসা, এই টানাপড়েনে পড়ে মৃত্যু হল চার দিনের এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর নড়েচড়ে বসেছে যোগী সরকার। ওই হাসপাতালের একটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্য বিভাগের অফিসার ইন-চার্জের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চার দিনের যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, সেই উর্বশীর জন্ম হয়েছিল গত ১৫ জুন। বরেলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শিশুটির বাবা কৃষক। বুধবার সকালে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন উদ্বিগ্ন বাবা, মা শিশুটিকে নিয়ে ছুটে আসেন বরেলী শহরের ওই সরকারি হাসপাতালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই সময় হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে যে চিকিৎসকের ডিউটি ছিল, সেই কমলেন্দ্র স্বরূপ গুপ্তা শিশুটিকে পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন, তাঁর অন্য কাজ রয়েছে, এই অজুহাতে। বলেন, শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের মহিলা বিভাগে যেতে। এর পরেই শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা, মা ছুটে যান হাসপাতালের একই কমপ্লেক্সে থাকা মহিলা বিভাগে। সেখানে যে মেডিক্যাল অফিসার দায়িত্বে ছিলেন, সেই মহিলা চিকিৎসক অলকা শর্মা জানান, শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত বেড নেই তাঁর বিভাগে। শিশুটিকে তিনি আবার পুরুষ বিভাগেই নিয়ে যেতে বলেন তার বাবা, মাকে।
শিশুটির ঠাকুমা কুসমা দেবীর অভিযোগ, ‘‘এই ভাবে টানা তিন ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের দু’টি বিভাগ আমাদের দৌড়ঝাঁপ করিয়েছে। কিন্তু কোনও বিভাগই আমাদের বাচ্চাটিকে ভর্তি করায়নি। তখন আমার ছেলে, বউমা বাচ্চাটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার কথা ভেবেছিল। সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিল নীচে, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু হাসপাতালের সিঁড়িতেই মৃত্যু হয় ওর।’’