#নেপাল: ইতিহাস গড়লেন কামি রিটা। অবশ্য আগের রেকর্ডটা তাঁরই ছিল। সেটাই ভাঙলেন। এই নিয়ে এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছোলেন ২৩ বার। বুধবার সকালে বাকি পর্বতারোহীদের সঙ্গে নিয়ে এভারেস্ট আরোহণ করেন কামি রিটা। নেপালের দিক থেকে এভারেস্ট আরোহণ করেন তিনি। নেপাল সরকার সূত্রে খবর, কামি রিটা-সহ সবাই সুস্থ রয়েছেন। গত বছরই ২২তম বার এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছে রেকর্ড করেছিলেন তিনি।
বুধবার সকালে এভারেস্ট ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পর্বতারোহণের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখলেন ৪৯ বছর বয়সি কামি রিটা শেরপা। তিনি প্রথম ২৪ বছর বয়সে এভারেস্ট আরোহণ করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তার পর ১৯৯৬, ২০০১, ২০১১ এবং ২০১৪ বাদে প্রত্যেক বছরই এভারেস্টে পৌঁছেছেন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, কামি রিটার আগে এই রেকর্ডের যৌথ মালিক ছিলেন আপা শেরপা। ২১ বার এভারেস্টে উঠেছিলেন তিনি। কামি রিটাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে, ওই একই বছর। তাঁরও ২১তম এভারেস্ট আরোহণ ছিল ওটা। কিন্তু ২১ বারের পর আপা শেরপা অবসর নেন। তার পরে গত বছর কামি রিটা আরও এক বার মাউন্ট এভারেস্ট ছুঁয়ে ২২তম বারের রেকর্ড করেন। এই বছর ২৩ ছুঁয়ে সেটাই ভাঙলেন তিনি নিজেই।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকেই এভারেস্ট বেসক্যাম্প থেকে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “নতুন ইতিহাস গড়তে আমি আরও এক বার সাগরমাতার শৃঙ্গ ছুঁতে চলেছি, যাতে সকল শেরপা এবং আমার দেশ গর্ব করতে পারে এই কৃতিত্ব নিয়ে।” কামি রিটা আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে কাজ শুরু করেছিলেন আমেরিকার একটি পর্বতারোহণ টিমের গাইড হিসেবে। দেশি-বিদেশি আরোহীরা সাধারণত অর্থের বিনিময়ে কামি রিটা বা তাঁর মতো অন্যান্য শেরপাদের সহায়তা নিয়েই মাউন্ট এভারেস্ট বা অন্যান্য শৃঙ্গে অভিযান করেন। এই বছরও কামি রিটা ২৯ সদস্যের একটি বিদেশি অভিযাত্রী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই দলে আছে জাপানি ও আমেরিকান পর্বতারোহী। তবে কামি রিটা বলেছেন, “এবার রেকর্ড করে ফেললেও আমি এভারেস্টে আরোহণ চালিয়ে যেতে চাই। চাই, ২৫ বার উঠে ইতিহাস গড়তে। শুধু রেকর্ড নয়।”
উল্লেখ্য, এ বার অন্যতম ব্যস্ততম সময় দেখতে চলেছে এভারেস্ট। অন্তত ৩৭৮ জন শৃঙ্গ আরোহণ করার ব্যাপারে নেপাল সরকারের অনুমতি নিয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার পিয়ালি বসাকও।