প্রধানমন্ত্রী মোদীর চপারে তল্লাশি! মহসিনের শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর চপার তল্লাশি করে শাস্তিপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। গত সপ্তাহে ওড়িশা সফররত প্রধানমন্ত্রীর চপারে তল্লাশি চালিয়েছিলেন আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন। এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপ্তদের তল্লাশি চালানো যায় না, এই নিয়মের ওপর ভিত্তি করে মহম্মদ মহসিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

গত সপ্তাহে ওড়িশার সম্বলপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে রেখে হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানো হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেরি হয়ে যায়। খবর কমিশনের কানে যেতেই আইএএস অফিসার মহম্মদ মহসিন সাসপেন্ড করে কমিশন। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানায় বিরোধী দলগুলি।

অফিসার মহম্মদ মহসিন। সেখানেই নরেন্দ্র মোদীর কপ্টারে তল্লাশি চালান তিনি। যার জন্য মোদীর কপ্টার উড়তে প্রায় ১৫ মিনিট দেরি হয়। এর পরই কর্তব্য পালন না করার অপরাধে তাঁকে বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন। এই আইএএস অফিসার কোন নিয়ম ভেঙেছেন তা জানতে চাওয়া হলে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘‘২০১৪ সালের ১০ এপ্রিলে দেওয়া একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল যাঁরা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের আওতায় থাকেন, তাঁদের তল্লাশি করা যাবে না।’’ ২০১৪ সালের সেই নিয়মে অবশ্য এই রকম কোনও নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে না। বরং বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে তল্লাশি চালানো যেতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের প্রচারে বা নির্বাচন সংক্রান্ত যাতায়াতে কোনও ভাবেই সরকারি গাড়ির ব্যবহার করা যাবে না।’ যাঁরা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা পান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘এক মাত্র প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যাঁদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয় চরমপন্থী বা সন্ত্রাসবাদী হামলার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, তাঁরা এই নির্দেশের আওতার বাইরে থাকবেন।’ কিন্তু একই সঙ্গে সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ব্যক্তির স্বার্থে বাড়াবাড়ি রকমের কাজ করতে থাকলে কমিশন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারকে জানাবেন। তার ভিত্তিতে জরুরি ব্যবস্থা নেবে সরকার।’’

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest