সানির গুরদাসপুর থেকে প্রার্থী হওয়া না পসন্দ ধর্মেন্দ্র’র, প্রকাশ্যেই জানালেন ক্ষোভের কথা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#অমৃতসর: ৫৯ বছরের সানি দেওলকে গুরদাসপুর থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের হয়ে সুনীল জাখর। আগে জানলে ছেলে সানি দেওলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে সম্মতি দিতেন না ধর্মেন্দ্র, এমনই জানিয়েছেন তিনি।

ধর্মেন্দ্র বলেছেন, “গুরদাসপুরে পৌঁছে আমি জানতে পারি যে সানি লড়ছে সুনীলের বিরুদ্ধে। সুনীলের বাবা বলরাম জাখরের সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।সুনীল জাখর আমার কাছে ছেলের মতন।” ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন তিনি বলরাম জাখরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রাক্তন লোকসভা অধ্যক্ষ বলরাম জাখর ২০০৪ লোকসভা ভোটে রাজস্থানের চুরু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বলরামের হয়ে রাজস্থানে প্রচারে সাহায্যও করেছিলেন অভিনেতা। ধর্মেন্দ্র বিকানীর থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জিতেওছিলেন।ধর্মেন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভাগ্যই আমাদের গুরদাসপুরে নিয়ে এসেছে। এখানে এসে পৌঁছে আমি জিজ্ঞাসা করি যে সানির বিরুদ্ধে বলরাম জাখরের ছেলে লড়ছে কিনা। সম্ভবত আমি আগে যদি জানতাম যে সুনীল এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তাহলে না-ই বলতাম। কিন্তু আমরা এখন ময়দানে নেমে পড়েছি, আর কিছু করার নেই।”

বিধায়ক ও সাংসদের মধ্যে তফাৎ কী, সে কথাই তিনি আগে জানতেন না বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি আরও বলেন, “বলরাম জাখর আমাকে রাজনীতির প্রথম পাঠ শিখিয়েছিলেন। এখন আমরা গুরদাসপুরে এসেছি এবং আমাদের যে যুদ্ধের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে যুদ্ধ লড়ব। প্রচারে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি যাতে রক্ষা করা হয়ে আমি সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।”

স্থানীয় ইস্যু নিয়ে সানি দেওলকে বিতর্ক করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সুনীল ঝাখর। সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ধর্মেন্দ্র বলেন, “সানি বিতর্ক করতে পারে না। সুনীলের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা আছে এবং ওর বাবাও রাজনীতিবিদ ছিলেন। আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছি। আমরা বিতর্ক করতে আসেনি।আমরা রাজনীতিবিদ নই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও নাম্বার ওয়ান আর নাম্বার টু নিয়ে রাজনীতি চসে। কিন্তু আমি সে রাজনীতি করিনি, কারণ আমরা ধূর্ত মানুষ নই। আমরা হলাম আবেগপ্রবণ মানুষ। আমরা এখানে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে এসেছি।”

তিনি বলেন, “আমি সানিকে বলেছি য়ে রাজনীতি খুব শক্ত জিনিস, কিন্তু ও বলল যে ও ইতিমধ্যেই ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারে হ্যাঁ বলে দিয়েছে। আমি জানি না কেন ওকে রাজি হতে হয়েছে, কিন্তু একবার যখন ও হ্যাঁ বলে দিয়েছে. আমরা ময়দান ছেড়ে পালাব না।”  ধর্মেন্দ্র বলেন, “আমি মুম্বই থেকে রোড শো দেখছিলাম, অনেক লোক হয়েছিল। দেখে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। আমি জানি যে মানুষ আমাদের ভালবাসে কিন্তু এত ভালবাসার কথা আমি ভাবতেই পারিনি।” উল্লেখ্য গুরদাসপুরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর রোড শো করেছিলেন সানি।

এর আগে সুনীল জাখর বলেন, “সানি দেওল নাচতে গাইতে পারেন এবং সিনেমায় যেমন দেখা যায় তেমনভাবে জমি থেকে হ্যান্ডপাম্প তুলেও আনতে পারেন- কিন্তু গুরদাসপুর সম্পর্কে বা সেখানকার মানুষের সমস্যা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest