Site icon The News Nest

খাবার-ওষুধ নেই, লকডাউনের জেরে গোয়ায় আটকে ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেত্রী নাফিসা আলি

nafisa ali

ওয়েব ডেস্ক: করোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন। এর জেরে ব্যাহত বহু মানুষের জীবনযাত্রা। লকডাউনের জন্য সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন প্রবীণ নাগরিকরা। শুধু আম জনতাই নন, তালিকায় রয়েছেন তারকারাও। আপতত গোয়ায় আটকে রয়েছেন অভিনেত্রী নাফিসা আলি। ৬৩ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কাছে নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাবারের জোগান। নাফিসা আলি জানিয়েছেন, গত ছ’দিন ধরে মুদির দোকানগুলি বন্ধ। আমি একজন ক্যানসার জয়ী মানুষ। আমার নির্দিষ্ট কিছু ডায়েট মেনে চলতে হয়। গত কয়েকদিন ধরে আমি শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছি-কোন সবজি বা ফল পাচ্ছি না। আমাদের যোগাযোগ একদম বিচ্ছিন্ন। আমি মরজিমে রয়েছি এবং মানুষজন এখন খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। শুধু পানজিমেই পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে। সবার জন্যই আমার মন খারাপ।

আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রির অসংগঠিত কর্মীদের জন্য ৫১ লক্ষ অনুদান অজয় দেবগনের

মার্চ মাসের শুরুতে যখন দিল্লি থেকে গোয়ায় এসেছিলেন নাফিসা আলি এবং তাঁর মেয়ের পরিবার তখন মাত্র দিন দশেক থাকার প্ল্যান ছিল তাঁদের। কিন্তু লকডাউনের জন্য তাঁদের এখানেই থেকে যেতে হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে প্রয়োজনীয় ওষুধটাও পাচ্ছেন না নাফিসা আলি।

আরও পড়ুন: করোনায় ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০, মোট আক্রান্ত ১৯৬৫ জন

নাফিসা আলি জানান, ‘আমার নাতি-নাতনিদের স্কুল বন্ধ ছিল এবং আমার মেয়ে আমাকে নিয়ে চিন্তায় ছিল তাই বলল তুমি গোয়ায় চলে এস। তারপরই লকডাউন শুরু হল এবং সবকিছু বন্ধ। আমার ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। কুরিয়ার সার্ভিস কাজ করছে না। তাই অন্য কোথাউ থেকে ওষুধ আনানো সম্ভবকর নয়। আমি কোনও ওষুধ খেতে পাচ্ছি না, যা আমার স্বাস্থ্যের জন্য একদমই সঠিক নয়’।

মরজিমের ওষুধের দোকানে নাফিসা আলির ক্যানসার সংক্রান্ত ওষুধের স্টক নেই, লকডাউনের কারণে পানজিমে গিয়ে সেই ওষুধ আনা সম্ভবকর হচ্ছে না, জানিয়েছেন অভিনেত্রী। করোনার কবল থেকে আপতত নাফিসা আলি ও তাঁর মেয়ের পরিবার সুরক্ষিত থাকালেও, বেঙ্গালুরুতে অভিনেত্রীর বোনঝি নৃত্যশিল্পী দিয়া নাইডুর শরীরে Covid-19 ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। নাফিসা আলি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে সুইৎজারল্যান্ড থেকে ফিরেছে সে। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে দিয়া নাইডু।

আরও পড়ুন: করোনার গ্রাসে বাতিল টেনিসের সেরা আকর্ষণ উইম্বলডন, হতাশ ফেডেরার

Exit mobile version