Site icon The News Nest

Best Bengali Romantic Novels: বাংলা সাহিত্যে ১০ সেরা প্রেমের উপন্যাস (শেষ পর্ব)

love

বাংলা প্রেমের গল্প এত বেশি লেখা হয়েছে আর প্রতিটি প্রেমের গল্পই নিজের মতো করে পাঠককে আকর্ষণ করে যে ‘সেরা বাংলা প্রেমের উপন্যাস’ বলে যেকোনোও একটি বা দুটি উপন্যাসকে (Bengali Novels) চিহ্নিত করা অসম্ভব। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, সুচিত্রা ভট্টাচার্য – অনেকেই ভালবাসার গল্প লিখেছেন। আমরা চেষ্টা করলাম বাংলা সাহিত্যের দশটি শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাসের সংকলন নথিবদ্ধ করার।

কালবেলা

উপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত ট্রিলজি উপন্যাস এর মধ্যে অন্যতম ‘কালবেলা’। বিখ্যাত এই ট্রিলজির প্রথম উপন্যাস ‘উত্তরাধিকার’ দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কালবেলা’ এবং তৃতীয় টি ‘কালপুরুষ’। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অনিমেষকে ঘিরে গল্পের পটভূমি। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট রাজনৈতিক হলেও তা ছাপিয়ে যায় অনিমেষ ও মাধবীলতার প্রেম।

দত্তা

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দত্তা উপন্যাসটি গ্রামীণ পরিবেশের কুটকৌশল, ষড়যন্ত্র এবং তার মধ্যেই নরেন ও বিজয়ার ভালোবাসা, অভিমান এবং শেষে নরেন এবং বিজয়ার বিবাহে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৯৩৪ সালে ‘দত্তা’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ ‘বিজয়া’ প্রকাশিত হয়।

কপালকুণ্ডলা

বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত হয় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’। উপন্যাসে একদিকে যেমন আছে প্রেম তেমনি আছে রোমান্স সামাজিকতা এবং অ্যাডভেঞ্চার।

ন হন্যতে

মৈত্রী দেবীর লেখা ন হন্যতে উপন্যাস টি তার গভীর জীবনবোধের ফসল। প্রাক্তন প্রেমিক মির্চা এলিয়াদের লেখা ‘লা নুই বেঙ্গলি’ বইয়ের প্রত্তুতরও বলা যেতে পারে এই উপন্যাসকে। তার জীবনের এক বিশেষ পর্যায়ের কাহিনী স্মৃতিচারণ করেছেন ঔপন্যাসিক। মির্চা এলিয়াদ এর প্রতি তার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা যা অমর তারই প্রকাশ এই উপন্যাসে।

পুতুল নাচের ইতিকথা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস পুতুল নাচের ইতিকথা প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। বহু আকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা ফিরে পেলেও সময়ের খেলায় তা অনেক সময় আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। শশী কুসুমের প্রেম সম্পর্ক ঠিক যেন তাই। দুজনেই দুজনকে ভালোবাসলেও তারা পুতুল মাত্র, তাদের জীবনকে চালনা করার চাবিকাঠি অন্য কারোর হাতে।

আরও পড়ুন: প্রফেসর শঙ্কু, বঙ্কুবাবু থেকে ফেলুদা- ফিরে দেখা সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট কিছু কালজয়ী চরিত্র

মেঘ বলেছে যাব যাব

১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হুমায়ুন আহমেদের একটি অনবদ্য প্রেমের উপন্যাস ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’। হুমায়ূন আহমেদের লেখা এই উপন্যাসটি মধ্যবিত্ত জীবনের ভালোবাসা, নানান সম্পর্ক, টানাপোড়েন ইত্যাদি তুলে ধরেছেন। প্রধান চরিত্র হাসানের সাথে তিতলির ব্যর্থ প্রেম,প্রেমের হাহাকার অসামান্য নৈপুণ্যতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন উপন্যাসিক।

একটু উষ্ণতার জন্য

বুদ্ধদেব বসুর লেখা একটু উষ্ণতার জন্য উপন্যাসটিতে বিবাহিত সুকুমারের জীবনে ভালোবাসা নিয়ে আসা ছুটি তাঁর জীবনকে একদিকে প্রানবন্ত করে তুললেও বানান সম্পর্কের টানাপড়েনে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে সে।

কাগজের বউ

সাধারণভাবে এই উপন্যাসের কাহিনী শুরু হলেও শেষে থাকে এক চমক। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রেমের উপন্যাস ‘কাগজের বউ’ উপন্যাস এর নায়ক উপল শিক্ষিত হলেও জীবন তাকে এমন পরিস্থিতিতে উপনীত করে যে তাকে ডাকাতি, বাস কন্ট্রাক্টর বহুবিধ পেশা অবলম্বন করতে হয়। বহু প্রতিভা সম্পন্ন উপল নাটক লিখতে পারে, গান গাইতে পারে, অভিনয় করতে পারে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে কিভাবে সে আকাঙ্ক্ষিত প্রেমের কাছে পৌছায় সেই কাহিনি এই উপন্যাসে বলা।

শ্রীকান্ত

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি তার অসামান্য শিল্পদৃষ্টির প্রতিফলন। শ্রীকান্ত এবং রাজলক্ষ্মীর বড় প্রেমের নিদর্শন পেতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে এই উপন্যাসটি। তবেই উপলব্ধি করা সম্ভব হবে – “বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না – ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।”

ঝিন্দের বন্দী

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাডভেঞ্চারধর্মী এই উপন্যাসে গৌরীশংকর এবং কস্তুরীর সম্পর্ক নিখুঁতভাবে চিত্রায়িত করেছেন উপন্যাসিক।

আরও পড়ুন: Best Bengali Romantic Novels: বাংলা সাহিত্যে ১০ সেরা প্রেমের উপন্যাস (প্রথম পর্ব )

Exit mobile version