Site icon The News Nest

আশার আলো! করোনার কেন্দ্র চীনের উহান শহর থেকে লকডাউন উঠে যাচ্ছে ৮ই এপ্রিল

wuhan 240320 01

বেজিং: বিশ্বের নানা দেশ যখন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে লড়ছে – তখন চীনের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে উহান শহরে আংশিকভাবে লকডাউন উঠে যাবে।

আরও পড়ুন: করোনার পর এবার নতুন শত্রু হানটাভাইরাস! চিনে মৃত ১

এই উহান শহর থেকেই চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সূচনা – যা এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।কর্মকর্তারা বলছেন, উহান শহরটি যে প্রদেশের অন্তর্গত – সেই হুবেইয়ের সুস্থ বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে।এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোন করোনাভাইরাস রোগী না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার এক ব্যক্তির দেহে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশই এখন পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই উহানকে সারা বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল।কিন্তু এখন চিন সরকারি ভাবে দাবি করেছে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। দেশীয় কোনও ব্যক্তি নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন, এমন কোনও রিপোর্ট নেই। অল্প সংখ্যক যে নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত হচ্ছে, তাঁদের বিদেশে ভ্রমণ বা বিদেশিদের সংস্পর্শে আসার নজির রয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বেজিং।

আরও পড়ুন: ‘বাবুদের অসুখ’ বলে করোনাকে হ্যাটা করবেন না! আক্রান্ত হতে পারে ৩০ কোটি

যদিও করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের যে দাবি শি চিনফিং প্রশাসন করছে, সে দেশের অভ্যন্তরেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ নাগরিক ও বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিযোগ, নতুন করে কার্যত কারও করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা হচ্ছে না। এমনকি, সংক্রমণের লক্ষ্মণ নিয়ে গেলেও ফিরিয়ে দিচ্ছে অধিকাংশ হাসপাতাল। আবার নতুন সংক্রমণের যে তথ্য, সরকারি ভাবে দেওয়া হচ্ছে, তা অনেকটাই প্রভাবিত। সেই সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে অনেক কম করে দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

কিন্তু সে সব উড়িয়ে মঙ্গলবার লকডাউনের নির্দেশ তুলে নিয়ে হুবেই প্রশাসন জানিয়েছে, বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। হুবেই প্রদেশের বাইরে যাতায়াত করতে পারবেন। একই ভাবে অন্য এলাকা থেকেও হুবেইয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। ট্রাফিক নিয়ম মেনে যানবাহন চলাচলেও আর কোনও বাধা থাকবে না। তবে বাইরে বেরোলে থাকতে হবে ‘গ্রিন কোড’। একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানাবিধ প্রশ্নের জবাব দিয়ে এই ‘গ্রিন কোড’ পাওয়ার বন্দোবস্ত চালু করেছে চিনের প্রশাসন। সেই কোড সঙ্গে থাকলে যাতায়াতে আর কোনও বাধা থাকবে না। যদিও অ্যাপের মাধ্যমে সেই ‘গ্রিন কোড’ দেওয়া নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।

Exit mobile version