Site icon The News Nest

বেহাল অবস্থা! করোনা টেস্টের যোগ্য নয় এ রাজ্যের কোনও বেসরকারি ল্যাব

Coronatest 1

FILE PHOTO: Test tube with Corona virus name label is seen in this illustration taken on January 29, 2020. REUTERS/Dado Ruvic/File Photo

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য দেশের ১২টি বেসরকারি গবেষণাগারকে অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের পাঁচটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রয়েছে এই গবেষণাগারগুলি। এতদিন পর্যন্ত কেবল পুণের নাইসেডেই পরীক্ষা চলত। এবার থেকেই এই ১২টি বেসরকারি গবেষণাগারেও পরীক্ষা হবে।

আরও পড়ুন: গরমে কমতে পারে করোনার সংক্রমণ, মার্কিন গবেষণায় উঠে এল তথ্য

কোভিড-১৯ আক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে আমাদের দেশ, এমনটাইজানিয়েছেন আইসিএমআর-এর অধিকর্তা বলরাম ভার্গব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে আইসিএমআর। প্রতিদিনই আরও বেশি সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। সে কারণে এক দিকে সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রকেও কোভিড-১৯ পরীক্ষার ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র।

আইসিএমআর-এর নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে, দেশের যে সমস্ত ল্যাবরটরি ‘ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিস’ (এনএবিএল) অনুমোদিত বেসরকারি ল্যাবে যে কোনও আরএনএ ভাইরাস পর্যবেক্ষণের ‘রিয়েল টাইম পলিমারেইজ চেন রিঅ্যাকশন’ পরীক্ষার বন্দোবস্ত আছে, সেখানেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা হওয়া সম্ভব। সোমবার আইসিএমআর সারা দেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত বেসরকারি ল্যাবের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর ১২টি বেসরকারি কেন্দ্রের নাম রয়েছে। এ রাজ্যের কোনও বেসরকারি ল্যাবরটরির নাম নেই ওই তালিকায়। সরকারির মধ্যে শুধু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নাম রয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকার হবে সরকারি তত্ত্বাবধানে, পরিবারকে দেওয়া হবে না দেহ

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ১২টি বেসরকারি গবেষণাগার-

১। দিল্লি- লাল প্যাথ ল্যাবস
২। গুজরাত- ইউনিপ্যাথ স্পেশ্যালিটি ল্যাবরেটরি লিমিটেড
৩। হরিয়ানা- স্ট্যান্ডার্ড লাইফ সায়েন্সেস এবং এসআরএল লিমিটেড
৪। কর্নাটক- নেবুবার্গ আনন্দ রেফারেন্স ল্যাবরেটরি
৫। মহারাষ্ট্র- থারোকেয়ার টেকনোলজিস, সাব-আর্বান ডায়গনস্টিকস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড, মেট্রোপলিস হেলথ কেয়ার লিমিটেড, শ্রী এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, এসআরএল লিমিটেড
৬। তামিলনাড়ু- ডিপার্টমেন্ট অফ ক্লিনিকাল ভাইরোলজি, ডিপার্টমেন্ট অফ ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজছাড়া এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও সরকারি হাসপাতালই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বটে, তবে তা কার্যকরী হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আপাতত এ রাজ্যে সব মিলিয়ে তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র, তার মধ্যে দু’টিই কলকাতায়।  উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের নমুনা পরীক্ষা করতে এখনও পর্যন্ত পুরোটাই নির্ভর করতে হচ্ছে কলকাতার উপর।

আরও পড়ুন: শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, বাকি রোগীদের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা স্বীকার করছেন, এর ফলে নাইসেডের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে। কারণ ২২ মার্চ পর্যন্ত১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার ৯০ শতাংশই করা হয়েছে নাইসেডে। এসএসকেএমে পরীক্ষার ব্যাবস্থা থাকলেও সেখানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে খুবই কম। এক স্বাস্থ্যকর্তা স্বীকার করেন, এর ফলে রাজ্যে যেখানে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭ এবং মৃত্যুও হয়েছে ১ জনের, সেই পরিস্থিতিতে আরও অনেক সরকারি এবং বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র প্রয়োজন।

 

 

Exit mobile version