Site icon The News Nest

বাঙালিকে কাছে টানতে বিজেপি নেতাদের পাতে এবার মাছ! মেনুতে ফিশফ্রাই-কালিয়া

Fish fry original 1 edit

বাংলার মন বুঝতে হবে বিজেপিকে(BJP)। বাংলায় রাজনীতি করতে গেলে পুরোদস্তুর বাঙালি হতে হবে। তবেই সাফল্য আসবে। একুশের বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর এই আওয়াজ উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। তাই এবার নিরামিষ ছেড়ে মাছে-ভাতে মজেছে বিজেপি। তাই সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে নিরামিষ বাদ দিয়ে মেনুতে এল মাছের বিভিন্ন পদ। এর আগে কবে, কখন বিজেপি কোন অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীদের জন্য মাছের আইটেম হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না কেউ-ই।

সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য পার্টির নবগঠিত কমিটি ও সভাপতিদের বৈঠকে আমিষ পদ পরিবেশন করেছে পদ্ম শিবির। যেখানে স্বয়ং হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠন সম্পাদক বিএল সন্তোষ। একুশের নির্বাচনের সময় দেখা গিয়েছিল একাধিকবার রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিরামিষ আহার করেছেন। তাও আবার বাঙালি, আদিবাসীদের বাড়িতে। সেখানে এবার যেন ভোলবদল হল তাদের। সুকান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে বঙ্গ–বিজেপির প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠকের মধ্যাহ্নভোজে রাখা হল আমিষ পদ! ছিল ফিসফ্রাই থেকে মাছের কালিয়ার মতো বিভিন্ন পদ। এমনকি, সংবাদমাধ্যমের জন্যও সেই মাছ-ভাত বরাদ্দ ছিল।

বাংলার ক্ষমতার কেন্দ্র নীলবাড়ি দখলের স্বপ্ন দেখেও তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ পাঠাতে পারলেও বিধানসভা নির্বাচনের শেষে দেখা গিয়েছে ৭৭ আসন এবং উপনির্বাচন মিটতে মিটতে ৭৫ আসনে আটকে বিজেপি। সামনে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। আসনসংখ্যা বাড়াতে না পারলেও বিজেপি-কে ২০১৯-এর ফল ধরে রাখতে হবে। তার জন্য ‘বাংলা বিজেপি’-কে ‘বাঙালি বিজেপি’ হতে হবে বলে মনে করেন দলের নেতাদের বড় অংশ।
সেই লক্ষ্যে তিন বছর আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উদ্যোগী হয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর তা চোখে পড়েছে। পুরনোদের অনেককে বাতিলের খাতায় রেখে যে কমিটি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেছেন তাতে ‘সংস্কারের ইঙ্গিত’ রয়েছে বলে দলের এক নেতার বক্তব্য। একই সঙ্গে বিজেপি-কে ‘বাংলার দল, বাঙালির দল’ হিসেবে সামনে আনার চেষ্টাও চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন: Christmas 2021 : পার্কস্ট্রিটে বড় চমক, ৫৪ ফুট লম্বা ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা !

যেমন, নতুন রাজ্য কমিটিতে অবাঙালি নেতাদের সংখ্যা অনেক কম। অবাঙালি বলতে একজন সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিংহ এবং কোষাধ্যক্ষ কেন্দ্রাশিস বাপট। তবে দু’জনেই অভ্যাস, আচরণে পুরোপুরি বাঙালি। জেলা সভাপতি বাছার ক্ষেত্রেও একই ফর্মুলা গুরুত্ব পেয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, শীঘ্রই ঘোষণা হতে-চলা জেলা থেকে মণ্ডল স্তরের কমিটিগুলিতেও মূলত বাঙালিরাই বেশি জায়গা পাবেন। ঠিক সেই কারণেই বিজেপি-র দলীয় কর্মসূচির মেনুতে ভাতের সঙ্গে মাছও পড়ছে। এ-ও সেই বাঙালি হতে চাওয়ারই প্রকাশ।

একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে বাঙালির দল নয় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এবার বাঙালি হওয়ার চেষ্টা করা হল বলে মনে করছেন অনেক বিজেপি নেতাই। এভাবে নয়া পথ ধরে সাফল্য আসে কিনা এখন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: পাশে অচৈতন্য বাবা-মা, মানসিক অবসাদে পেটে ছুরি বসিয়ে আত্মঘাতী ছাত্র

Exit mobile version