Site icon The News Nest

টিএমসি সেটিং মাস্টার গো ব্যাক! কৈলাস–বিরোধী পোস্টার পড়ল বিজেপি-র ২ দফতরে

kailash scaled

বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপি-র অন্দরের ফাটল ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। এবার রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল শহরে। পোস্টারে কৈলাসকে ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার’, ‘গো ব্যাক’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। পোস্টারে আবার মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাসের ছবিও রয়েছে। মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতরের বাইরে, হেস্টিংসে কার্যালয়ের বাইরে ও বিমানবন্দরের কাছে এই পোস্টার পড়েছে। এই পোস্টার থেকে এটা আরও স্পষ্ট যে কৈলাসের প্রতি দলের অন্দরেই ক্ষোভ মারাত্মক আকার নিয়েছে। অনেকেই তাঁর অপসারণের দাবি তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি–সহ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তা নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকে বলে সূত্রের খবর। তারপরই শহরের বুকে এবং বিজেপির কার্যালয়ে পড়ল কৈলাস–বিরোধী পোস্টার।

মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন অনেক বিজেপি নেতাই। এবার কৈলাসকে ‘বোকা বিড়াল’ বলে তোপ দাগলেন তথাগত রায়। এই বোকা বিড়ালটিকে তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও করেন তিনি। তার মধ্যে শহরজুড়ে পড়ল কৈলাস বিরোধী পোস্টার। এই মুহূর্তে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বৈঠকে যোগ না দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‌শিবপ্রকাশজিই তো যাচ্ছেন। আমি এখন মধ্যপ্রদেশে আছি। আমার কলকাতায় যাওয়ার দিনক্ষণ এখন ঠিক হয়নি।’‌ এখন প্রশ্ন উঠছে, শিবপ্রকাশকে এড়িয়ে যেতেই কি এদিন বাংলায় গেলেন না কৈলাস?‌ কারণ তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত।আর তারপরই পড়ল পোস্টার।

আরও পড়ুন: রাজভবনের খোলা বারান্দায় ৫১ BJP বিধায়ক নিয়ে বৈঠক রাজ্যপালের, বাকি ২৩ জন কোথায়? তুঙ্গে জল্পনা

এই পোস্টার যে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ দেয়নি তাও স্পষ্ট। কারণ আর যেখানেই দেওয়া সম্ভব হোক, বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেখানে দিন–রাত লোকজন থাকে। সুতরাং কৈলাস–বিরোধী গোষ্ঠীই এই পোস্টার ফেলেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

বঙ্গে আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দায়ী করছেন। নিশানায় অন্যতম কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বাংলায় সংগঠনের প্রতিটি খুঁটিনাটি জেনে সেইমতো ব্লু-প্রিন্ট ছকে তবেই ভোটযুদ্ধে এগোনো উচিৎ তাঁর। কিন্তু ভোটের ফলাফল বলছে, সেই কাজে তিনি ব্যর্থ। তাই তাঁর অপসারণের দাবিও উঠেছে। এবার বিজেপি রাজ্য দপ্তরের তরফেও সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটল।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র নিরাপত্তা তুলল মুকুলের, দিল রাজ্য, ছিল ‘জেড’, হল ‘ওয়াই’ নিরাপত্তা

Exit mobile version