Sandeshkhali : BJP leader Siriya Parveen who was arrested during protest with Sukanta Majumdar joins TMC

Sandeshkhali: সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী তৃণমূলে, জানালেন নারী নির্যাতন গেরুয়া শিবিরের পরিকল্পনা

লোকসভা ভোটের আগে আবারও সন্দেশখালিতে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। এবার সন্দেশখালি তথা বসিরহাটে বিজেপি নেত্রী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয় ফাঁস করলেন বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনাও। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের উপস্থিতিতেই তিনি দল বদল করেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে, সরস্বতী পুজোর দিন। সকাল সকাল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল টাকি। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তাঁর উপস্থিতিতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্ত উঠে পড়েছিলেন পুলিশের গাড়ির বনেটে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিজেপির এক নেত্রীকে। নাম সিরিয়া পারভিন। বিজেপির বসিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক সেই সিরিয়া এ বার যোগ দিলেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার শশী পাঁজা এবং মমতাবালা ঠাকুরের উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি। তৃণমূলের তরফে সিরিয়ার যোগদান উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানেই সিরিয়া ‘মনের কথা’ জানান। সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। জানিয়েছেন, তাঁর মন ভেঙে গিয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা যে বিজেপি টাকা দিয়ে সাজিয়েছে, সেই অভিযোগও করেছেন।

সিরিয়া ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি বিজেপির বসিরহাটের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি দল বদল করেই পুরনো দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আর সংবাদ মাধ্যমে নাটক তৈরি করার জন্য আগে থেকেই প্ল্যান তৈরি করতে বলা হয়েছিল। আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে কী করে উপর থেকে টেক্সট করা হয়েছিল ভুয়ো ধর্ষণের দাবি কার্যকর করার জন্য। আমাদের টাকা ও মোবাইল দেওয়া হয়েছিল।’ এদিন তিনি বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে নিয়েও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আন্দোলন করার জন্য রেখা পাত্রকেও মোবাইল আর টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে গত ১৫ মে-র ঘটনার বর্ণনা করেন সিরিয়া। বলেন, ‘‘১৫ মে সন্দেশখালিতে আবার এক মহিলা নতুন করে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আমার কাছে ফোন আসে, সন্দেশখালি যেতে হবে। মেসেজ আসে, ‘এটা আমাদের তৈরি করা’ বলে। গিয়ে দেখলাম, পুলিশের এফআইআরে বলা হয়েছে, মহিলার শ্লীলতাহানি হয়েছে। পরের দিন ওই মহিলা গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে বলেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সে দিনই আমার মন আরও ভেঙে যায়।’’

সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের ‘পিঠে বানানোর’ জন্য রাতবিরেতে ডেকে পাঠানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সে প্রসঙ্গে সিরিয়া বলেন, ‘‘পিঠে আসলে বিজেপির লোকজন বানান। বিজেপিতে পিঠে বানিয়ে দিলে বাড়তি অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সন্দেশখালির ঘটনার কারণে বাংলায় আমরা নারীদের সম্মানের সঙ্গে রাজনীতির রং গুলিয়ে ফেলেছি। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে সন্দেশখালিতে। আরও অনেক কিছু ঘটানো হবে।’’