Site icon The News Nest

নিয়মিত তোপ দাগছেন দিলীপ, আর ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড নিল তাঁর পরিবারই!

প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের সেই প্রকল্পকে কখনও ‘ভাঁওতাবাজি’, কখনও ‘দু’মাসের তাপ্পি মারা কাজ’ বলেও কটাক্ষ করছেন তাঁর দলের নেতাকর্মীরা। অথচ সেই রাজ্য বিজেপি সভাপতির দুই ভাইয়ের পরিবারই ‘স্বাস্থ্যসাথী’-তে নাম নথিভুক্ত করিয়ে নিলেন। যে দু’জনই আবার ঝাড়গ্রাম বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে বিজেপির রাজ্য সভাপতির। সেখানে অবশ্য থাকেন না দিলীপ। স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে সেই বাড়িতে থাকেন দিলীপের ভাই তথা গোপীবল্লভপুর-২ মণ্ডলের বিজেপির সভাপতি হীরক। একই গ্রামে থাকেন দিলীপের খুড়তুড়ো ভাই সুকেশ ঘোষ। যিনি আবার জেলায় বিজেপির সহ-সভাপতি। গত ডিসেম্বরে ‘দুয়ার সরকার’ শিবিরে গিয়ে রাজ্যে সরকারের প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ছবি তুলে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড সংগ্রহ করেছেন।

আরও পড়ুন: আব্বাস সিদ্দিকিকে সাম্প্রদায়িক বলতে একেবারেই নারাজ সূর্যকান্ত মিশ্র

তাতে অবশ্য বিড়ম্বনার কিছু দেখছেন না দিলীপের পরিবারের লোকজন। সুকেশের বক্তব্য, সরকারি প্রকল্পের তো সকলের জন্যই। ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড নেওয়া মোটেও অন্যায়ের নয়। পরে যাতে সমস্যা না হয়, তাই নাম নথিভুক্ত করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সুকেশ। কিন্তু বিজেপি তো ‘স্বাস্থ্যসাথী’ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, তাহলে? সুকেশের বক্তব্য, এই ঘটনায় বিতর্কের কিছু নেই। হীরকের আবার দাবি, অন্যদের মতো তিনিও ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড করিয়েছেন। এখনও কোনও সুবিধা পাননি।

তবে দিলীপের পরিবারই প্রথম নয়, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের ‘সুফল’ নিচ্ছেন একাধিক বিজেপির নেতাকর্মী। দিনকয়েক আগেই বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর বাবা ও মা ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড সংগ্রহ করেছেন। সেই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঝাড়গ্রামের স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি যে দিলীপের পরিবারেরও আস্থা আছে, তা প্রমাণিত হল। সঙ্গে তিনি জানান, সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, যে দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র কার্ড নেবেন খোদ দিলীপও।

আরও পড়ুন: আরও বাড়ল দূরত্ব! ডিএসডিএ’র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে

Exit mobile version