কথা রাখলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পদ্মার ইলিশ ঢুকল এপার বাংলায়। দুর্গাপুজোর আগে পদ্মার ইলিশ আসায় খুশি এপারের বাঙালিরা। সোমবার সন্ধেয় বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি ইলিশ ঢুকল পেট্রাপোলে। দু’টি ট্রাকে করে ইলিশ আসে বন্দরে। পেট্রাপোল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আধিকারিক সত্যপ্রিয় সিনহা বলেন, “দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত। এবছর মোট ১৫০০ টন ইলিশ ঢোকার কথা রয়েছে।”
লকডাউনের জেরে নদীপথ পরিষ্কার থাকায় এবং বেশ ভাল পরিমাণ বৃষ্টিপাত দেখে পশ্চিমবঙ্গে এবার বেশ ভাল পরিমাণ নধর ইলিশ ধরা পড়বে বলে অনুমান করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সেরকম ইলিশ এবার ওঠেইনি নদী থেকে। বাজারেও যা পাওয়া যাচ্ছে তার অনেক দাম। কিন্তু এবার পদ্মার ইলিশে পাত পড়বে শুনে চাহিদা মিটবে অনেকেরই।
আরও পড়ুন: BREAKING: ইমাম ভাতার পরে এবার পুরোহিত ভাতা, সঙ্গে বাড়িও! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় বাংলাদেশে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কোনও নদীই নিরাশ করেনি। বাংলাদেশের বাজারে এবার ইলিশের দামও খুব কম। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে। এর কম ওজনের ইলিশের দাম ৬০০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। জানা গিয়েছে, আরও ভাল দাম পাওয়ার আশায় রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইলিশ রপ্তানি করতে অনুমতি পয়েছে বাংলাদেশের ৯ রপ্তানিকারক।
দেশের চাহিদা মেটাতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ (Hilsa) রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। তবে গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতি বছর হাজার হাজার টন ইলিশ চোরাই পথে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতে পাচার হত। সে কারণে ইলিশের বাজার চাঙ্গা থাকত। এ বছরও পাচার হওয়ার সময় প্রায় ২ হাজার ৮০০ কেজি ইলিশ পাকড়াও করেছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: মহালয়ায় নিয়ম মেনে গঙ্গায় পিতৃতর্পন, পুজো নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক কলকাতা পুরসভার