গরিব মানুষের সাধ্য নেই চৌকিদার রাখার, মোদীকে কটাক্ষ নৌ-সফররত প্রিয়াঙ্কার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রয়াগরাজ: দায়িত্ব পেয়েই ঘুরে গিয়েছিলেন একবার। তবে দাদা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এ বার একাই উত্তরপ্রদেশে প্রচারে নামলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নৌকাতে চেপে ভোট প্রচার শুরু করছেন প্রিয়াঙ্কা৷ সোমবার মানাইয়া ঘাট থেকে নৌকায় চাপেন তিনি৷ তিনদিনের সফরে প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী যাবেন তিনি৷ প্রচারের ফাঁকে করবেন জনসভা৷ এদিন প্রয়াগরাজের জনসভায় প্রিয়াঙ্কা বলেন,‘‘গতকাল একদল চাষির সঙ্গে দেখা হয়েছে৷ তারা পশ্চিমাঞ্চলের আলু চাষি৷ তাদের একজন আমাকে বলেছে, চৌকিদাররা বড়লোকদের জন্য৷ আমরা গরিব চাষিরাই হলাম নিজেদের চৌকিদার৷’’

3217 Priyanka Gandhi Ganga Yatrab 8419

‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ স্লোগানটির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত শনিবার।রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলের নাম বদলে লেখেন চৌকিদার৷ তারপর বিজেপিতে চৌকিদার হওয়ার ধুম লেগে যায়৷ বিজেপির বড়,মেজ সব সারির নেতারা তাদের নামের আগে চৌকিদার লিখে ফেলেন৷ এই নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘উনার ইচ্ছা উনি নামের আগে কী লিখবেন৷ কিন্তু চাষিরা বলছেন উনি বড়লোকদের চৌকিদার৷ সরকার শুধু শিল্পপতিদের কথাই চিন্তা করে৷ আর চৌকিদাররাও তাতে সামিল হয়েছে৷ মানুষের কষ্ট নিয়ে সরকার ভাবিত নয়৷ আর যারা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে তাদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে৷’’

সোমবার প্রয়াগরাজের মানাইয়া ঘাট থেকে প্রচার যাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। নৌকো থেকেই তাঁদের উদ্দেশ হাত নাড়েন প্রিয়ঙ্কা। নৌকো থেকে চেঁচিয়ে তাঁদের হাল হাকিকত জানতে চান। প্রয়াগরাজে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও, জনসভার জন্য দুমদুমা ঘাটকে বেছে নেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে স্থানীয় মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘গত ৫ বছরে দেশে বেকারত্ব যে হারে বেড়েছে, আগের ৪৫ বছরেও তা হয়নি। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে  মাথাব্যথা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। কেবল ধনী ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিই না। ক্ষমতায় এলে কৃষিঋণ মকুব করে দেব বলেছিলাম। গতবছর রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে তা করে দেখিয়েছি।  ক্ষমতায় আসার ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দিয়েছি।’’

রাজনীতিতে এত দেরি করে আসা নিয়েও মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা৷ তাঁর কথায়, ‘‘দেশের  কিছু লোক সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে।  ওদের ধারণা, সাধারণ মানুষ কিছু বোঝে না। সহজে বোকা বানানো যাবে।  তাদের জন্যই আজ দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। সঙ্কটে সংবিধানের অস্তিত্ব। তাই  বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি আমি।’’ সকলের কাছে রাহুল গান্ধীর হাত শক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ তবে কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, বিচার বিবেচনা করেই ভোট দিতে বলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে ভোট দিলে ঠকবেন না। কিন্তু এই দেশ আপনাদের। তাই একে রক্ষা করার দায়িত্বও আপনাদের। আপনারা আছেন বলেই আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে পারছি আমরা। তাই কাকে ক্ষমতায় আনবেন, সেই সিদ্ধান্তও আপনাদের হওয়া উচিত। আশা করি  কাউকে নিজেদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর সুযোগ করে দেবেন না আপনারা। কারণ এতে আপনাদের কোনও উপকার হবে না। লাভবান হবে অন্য কেউ।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest