নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: ফের হামলার মুখে পড়লেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম৷ শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত গুরুদাস নগরের বদরতলা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন তিনি৷ অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ বরং সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধর ও মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে সরব হয়েছে শাসকদল৷
এদিন গুরুদাসনগরে ফুয়াদ হালিমের সমর্থনে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, তখনই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা মিছিলে হামলা চালায়। সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে তুলে নিয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ। পুলিসকে জানিয়ে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। জেলাশাসক ও কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিপিএমের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী বলেন, “প্রচার চলার সময়েই স্থানীয় মস্তান গৌতম অধিকারীর নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” বেলা এগারোটা পর্যন্ত খবর, প্রার্থী ফুয়াদ হালিম-সহ বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী আশ্রয় নিয়ে ছিলেন স্থানীয় একটি বাড়িতে। তবে সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ওই বাড়ি ঘিরে ছিলেন তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ গিয়ে বার করে আনেন ফুয়াদ সহ সিপিএম কর্মীদের। তৃণমূল অবশ্য সিপিএমের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার এক নেতা বলেন, “সিপিএম এখন সিলেবাসের বাইরে। ওরা প্রচার পেতে এইসব কাণ্ড নিজেরাই করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপাচ্ছে।”
গত ৯ এপ্রিলও ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ ছিল, ফলতা থানার স্রোতের পোলের কাছে সিপিএম প্রার্থী-সহ বেশ কয়েকজন বামকর্মী আহত হন। কাউকে নিয়ে যেতে হয় আমতলা হাসপাতালে, কাউকে বা ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, একাধিক থানার আইসি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন। কমিশনে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না। ডায়মন্ড হারবারের এ দিনের ঘটনা নিয়েও পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।