#কলকাতা: যে দিন ক্লাস শুরু হবে, সে দিনই প্রথম কলেজে পা রাখবে ছাত্র-ছাত্রী। তার আগে অ্যাডমিশন সংক্রান্ত কাজে বা অন্য কোনও ব্যাপারে কলেজে যাওয়ার প্রয়োজনই পড়বে না। সোমবার নিউটাউনের অ্যামিটি ইউনিভার্সিটিতে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গতবার কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি ও তোলাবাজির অভিযোগে মুখ পুড়েছিল রাজ্য সরকার। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, কলেজে কাউন্সেলিং বা নথি যাচাইয়ের সময়ে বেআইনিভাবে টাকা তুলছেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আর যেহেতু রাজ্যের বেশিরভাগ কলেজের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে, তাই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শাসকদলের ছাত্রনেতাদেরও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেপ্তার হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা। দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে টিএমসিপির রাজ্য সভানেত্রীর পদ থেকে জয়া দত্তকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। মরশুমের মাঝপথেই কলেজে অনলাইনে ভরতির নির্দেশিকাও জারি করেছিল উচ্চ শিক্ষাদপ্তর। কিন্তু, তাতেও পড়ুয়াদের ভোগান্তি কমেনি বলে অভিযোগ। তাই এবার আর ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য শিক্ষাদপ্তর।
সোমবার রাজ্যের সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে নথি যাচাই ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সমস্ত কাজই অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নথি যাচাইযের জন্যও কিন্তু পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ডাকতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ, নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার পর পড়ুয়াদের নথি যাচাই করতে হবে। তখন যদি নথিতে কোনও ভুল ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল, তার পরেই শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই প্রথম, দ্বিতীয়-সহ সমস্ত মেধাতালিকায় অনলাইনে প্রকাশিত হবে।
ছাত্রসংগঠনগুলিকেও বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনো সংগঠন হেল্প ডেস্ক করতে পারবে না বলেও সাফ জানানো হয়েছে। অনলাইনেই মিলবে সমস্ত তথ্য। এই ব্যাপারে সমস্ত নির্দেশিকা জেলা প্রশাসনের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতর দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।