#নয়াদিল্লি: সোমবার নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংয়ের পর মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিত দাস। তাঁর সঙ্গেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন বনগাঁ পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলার।
এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন বনগাঁ পুরসভার ১২ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলার। ফলে ২২ ওয়ার্ডের বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল তৃণমূলের বর্তমান পুরবোর্ড। বনগাঁ পুরসভার ২২ আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ২০, সিপিএম ১ এবং কংগ্রেস ১। কিন্তু ১২ জন কাউন্সিলার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখানোর পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় পুরবোর্ডের অস্তিত্ব নিয়ে সংকট দেখা দিল।
তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের সব কাউন্সিলরকে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ হয়েছে তৃণমূলের ফল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেই এই সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকেছিলেন। কিন্তু বনগাঁ পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলরই সে সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা এই বৈঠক শুরু হওয়ার অনেক আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎও। নয়াদিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ দিন বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয় এই বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের। দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়ের উপস্থিতিতেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন।
গত ৮ জুন থেকেই সংকট দেখা দিয়েছিল বনগাঁ পুরসভায়। বর্তমান পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সে দিন অনাস্থা এনেছিলেন বনগাঁ পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলার। রাত পোহাতেই আরও তিন জন কাউন্সিলার বিক্ষুব্ধদের দলে যোগ দেন। এ দিন অবশ্য তৃণমূলের ১১ জন এবং কংগ্রেসের এক জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দেন। সব মিলিয়ে তৃণমূলের হাতে থাকা বনগাঁ পুরসভায় সংকট আরও গভীর হল বলেই ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভাটপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন সিং, নোয়াপাড়ার সুনীল সিং, বীজপুরের শুভ্রাংশু রায় এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে প্রভাব বাড়িয়ে নিল বিজেপি। বিজেপি নেতা মুকুল রায় দলবদল অনুষ্ঠানে বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকে ছ’টি পুরসভা বিজেপির দখলে এল”।