কলকাতা:ক্রমশ তাপের বহর দেখাচ্ছে বৈশাখ। পয়লা থেকে আজ তিন তারিখ। এক ডিগ্রি করে বাড়তে বাড়তে কলকাতার তাপমাত্রা আজ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পয়লা বৈশাখ থেকেই হাঁসফাঁস অবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে কলকাতার। বুধবার সকালে শহরের সর্বোচ্চ ৩৭.৪ডিগ্রি সেলসিয়াস,স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন ২৫.৬ডিগ্রি সেলসিয়া যা স্বাভাবিক। আর্দ্রতার পরিমান সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৩ শতাংশ।মঙ্গলবার রাতে নদিয়া জেলায় ঝড় বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব পড়েছিল কলকাতার উপর। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ঠান্ডা হাওয়া রাতের গুমোট ভাবকে কিছুটা পরিবর্তন করেছিল। ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা কিছুটা কমেছে। তবে ওই হাওয়ার জেরে মেঘ সরে যাওয়ায় সকাল থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য।
মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। কলকাতার মতোই অস্বস্তিকর গরম ছিল দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র। গরম ছিল দার্জিলিঙেও। সেখানে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে হয় ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়ায় আর্দ্রতা ছিল কম। তাতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থানে পরিস্থিতি হয় গরম কড়াইয়ে পড়ার মতো অবস্থা। কয়েকটি জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমানা ছাড়িয়ে যায়।আজ থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস কতটা ফলপ্রসূ হয় সেদিকেই চেয়ে শহরবাসী।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তুরে ঝঞ্ঝার প্রভাবেই আবহাওয়ার এই ভোলবদল। বৈশাখের শুরুতে হাওয়ায় সাধারণত আর্দ্রতা বেশি থাকে। তাতে ঘামে অস্বস্তি হলেও কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়ে। উত্তুরে ঝঞ্ঝা সেই জোলো হাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। সেখানকার হাওয়াও রয়েছে শুকনো। ফলে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা চড়ে গেছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ইরানে গড়ে ওঠা পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব ইতিমধ্যে মধ্য ভারতেও শুরু হয়ে গেছে।বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব পড়তে পারে। হালকা বৃষ্টির পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাতে বৃহস্পতিবার অস্বস্তি কিছুটা কমতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবারও। ঝড়বৃষ্টির কারণে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে আকাশে মেঘ থাকায় গুমোট ভাব থাকবে।