টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী, মৃত কমপক্ষে ৪০, জারি বন্যা-সতর্কতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#মুম্বই: প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যস্ত দেশের বাণিজ্য নগরী। বেহাল দশা পুনে ও থানে-সহ মহারাষ্ট্রের অন্যান্য জেলারও। ইতিমধ্যে বৃষ্টিজনিত কারণে ঘটা দুর্ঘটনায় মুম্বই, পুনে ও থানের বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জনের। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে ফড়ণবিস সরকার। সোমবার রাতে মুম্বই পুরসভার কমিশনারও সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছেন। আগামী দুদিন আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

মঙ্গলবার তিন জায়গায় দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। জখমদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে এদিন ভোরে মুম্বইয়ের পূর্ব মালাডের পিম্প্রিপড়া এলাকার কুরার গ্রামে। পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত কয়েকটি ঝুপড়ির উপর একটি বাড়ির সীমানা–পাঁচিল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। জখম আরও ১৩ জনকে শতাব্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে এনডিআরএফ। ধ্বংসস্তুপ মধ্যে থেকে তল্লাশির জন্য আনা হয় স্নিফার ডগও। জখমদের দেখতে মঙ্গলবার বেলার দিকে শতাব্দী হাসপাতালে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী যোগেশ সাগর। মৃতদের শোকপ্রকাশ করে তাঁদের পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং জখমদের সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে পুনে জেলার অম্বেগাঁও–এ। মঙ্গলবার ভোররাত ১.‌১৫ মিনিট নাগাদ স্থানীয় সিংগড় কলেজের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। জখম আরও তিনজন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে এনডিআরএফ ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আটকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোররাত ১২.‌৩০ মিনিট নাগাদ কল্যাণে। সেখানকার জাতীয় উর্দু স্কুলের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জখম আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত পাঁচ দিন ধরেই মুম্বইয়ে বৃষ্টির দাপট চলছিল। তার উপর রবিবার থেকে ২০০ মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে প্রতিদিন। রাস্তাঘাট, রেলপথ— প্রায় সবই জলমগ্ন হয়ে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাণিজ্য নগরীর জনজীবন। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা, আগামী তিন দিন আরও ভারী বৃষ্টিপাত হবে মুম্বই, ঠাণে এবং পালঘরে। বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট ৩ এবং ৫ তারিখের মধ্যে মুম্বইয়ে বন্যা-সতর্কতা জারি করেছে।

সূত্রের খবর, টানা বৃষ্টির জেরে মুম্বই বিমানবন্দরের রানওয়ে অত্যন্ত পিছিল হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার অবতরণের পর একটা স্পাইসজেট বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বিমানটা জয়পুর থেকে এসেছিল। যদিও বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। যাত্রীদের নিরাপদে বাইরে আনা হয়েছে। তবে বিপদ এড়াতে মুম্বই বিমানবন্দরের মূল রানওয়ে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় একটি রানওয়ে থেকে বিমান ওঠানামা করছে। এখনও পর্যন্ত ৫৪টি বিমানের মুখ ঘুরিয়ে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক বিমান বেঙ্গালুরু এবং আমদাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মূল রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিমান ওঠানামাতেও দেরি হচ্ছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest