পুরী: বুধবার বিজু জনতা দল নেতা তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সমালোচনাও করেছিলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারেই তল্লাশি চালান ওড়িশার জেনারেল অবজার্ভার মহম্মদ মহসিন। নিয়ম ভাঙার জন্য পরের দিনই সেই অবজার্ভারকে বরখাস্ত করল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসপিজি নিরাপত্তা বলয়ে থাকা ভিভিআইপিদের সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কর্ণাটক ক্যাডেটের ওই আইএএস অফিসার। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হল।
বুধবার রউরকেল্লার হেলিপ্যাড থেকে টেক অফ করতে যাচ্ছিল নবীন পট্টনায়েকের কপ্টার। ঠিক সেই মুহূর্তে কমিশনের কর্তাদের নেতৃত্বে আয়কর অফিসাররা পৌঁছে যান হেলিপ্যাডে। তাঁরা পরিচয় পত্র দেখিয়ে তল্লাশি শুরু দেন। যদিও নবীন হেলিকপ্টার থেকে নেমে রোদে দাঁড়াতে চাননি। তবে তার মধ্যেই তন্ন তন্ন করে দেখা হয় কপ্টারের ভিতরের সব কিছু। মঙ্গলবার সম্বলপুরে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কপ্টারেও তল্লাশি চালান কমিশনের আয়কর অফিসাররা।
একই ভাবে তল্লাশি চলে কুমারস্বামীর কপ্টারে। কর্ণাটকের শিবমোগ্গায় প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। হেলিপ্যাডে তাঁর কপ্টার নামার পরই আয়কর অফিসাররা তল্লাশি শুরু করে দেন। তবে এ ঘটনায় বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করেন কুমারস্বামী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থেকে কালো বাক্স নামছে, এসইউভি-তে চাপিয়ে তাও উধাও করে দেওয়া হচ্ছে। তখন কমিশন কোথায় ছিল?
সোমবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন আয়কর কর্তারা। তাঁর কপ্টারও তখন দাঁড়িয়ে ছিল শিবমোগ্গায়। তাঁদের ব্যাগ, বাক্স সবই হাতড়ে দেখা হয়। তবে এই তিন নেতার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া গিয়েছে কিনা কমিশন জানায়নি।